পাকা ভবনের মেঝে ও দেয়াল হঠাৎ করেই ভিজে ওঠে। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সামনে হয়তো বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দেবে এসব তারই লক্ষণ বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন অনেকে। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার উত্তর হরিহরপুর গ্রামের আশপাশের এলাকার এ ঘটনা ঘটছে । উত্তর হরিহরপুর গ্রামের ইদ্রিশ আলী জানান, তাদের এলাকার অনেকের বাড়ি ঘরের মেঝে দেয়াল ঘেমে উঠছে।
শহরের হাজীপাড়া মহল্লার রমজান আলী বলেন, তার ঘরের মেঝে ও দেয়াল ঘেমে যাচ্ছে। তিনি এটাকে আল্লাহর গজব মনে করছেন। একইভাবে মন্তব্য করে মুন্সিপাড়া মহল্লার কুদ্দুস। তবে ঠাকুরগাঁও সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ও পরিবেশবিদ আবু বক্কর সিদিক্ক জানিয়েছেন, ঘরের মেঝে ঘেমেছে স্বাভাবিক নিয়মেই। এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে তাপমাত্রা কমে গিয়েছিল।
বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা বাড়ায় বাতাসে আর্দ্রতা বেশি ছিল। ফলে এ ঘটনা ঘটেছে। সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বাতাসের আর্দ্রতা বেড়ে গেলে অনেক সময় ধরে এ ধরনের পরিস্থিতি থাকতে পারে। আবার কয়েক দিন টানা বৃষ্টি হলেও এটি হতে পারে। ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবু হোসেন বলেন, হুট করে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় ঘরের মেঝে ঘামছে।
এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তাপমাত্রা আকস্মিক তারতম্যের কারণে এটা হতে পারে। কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির ফলে তাপমাত্রা নিচে নেমে গিয়েছিল। টানা বর্ষণ শেষে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হয় আলো ঝলমলে দিন। পরিবেশও ছিল স্বাভাবিক। কিন্তু সকালে অনেকেই ঘুম থেকে উঠে দেখেন ঘরের মেঝেতে বিন্দু বিন্দু পানি জমে আছে।
দেয়াল, সিলিং এমনকি আয়নাও ঘেমে আছে। কেন এমন হচ্ছে, এ নিয়ে কৌতূহল বাড়তে থাকে তাদের। তা দেখে অনেকে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। রাণীশংকৈল ডিগ্রি কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ তাজুল ইসলাম বলেন, তার বাড়ির ঘরের মেঝে ঘেমেছে। তিনি জানান, ২০১৭ সালে ২৬ এপ্রিল হঠাৎ করে তার ঘর-বাড়ির মেঝেসহ আরও অনেকের ঘর- বাড়ির দেয়াল ও মেঝে ঘেমেছিল।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন