ব্যাট হাতে নয় বল হাতে জ্বলে উঠলেন মোহাম্মদ মিঠুন

ব্যাট হাতে নয় বল হাতে জ্বলে উঠলেন মোহাম্মদ মিঠুন

স্পোর্টস ডেস্ক : কিছুদিন আগেও বাংলাদেশ জাতীয় দলের নিয়মিত মুখ ছিলেন মোহাম্মদ মিঠুন। তিন ফরম্যাটেই খেলেছেন বাংলাদেশের হয়ে। অনেকবার সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে ব্যার্থ মিঠুন স্বাভাবিকভাবেই জায়গা হারিয়েছেন জাতীয় দল থেকে। জাতীয় দলে জায়গা ফিরে পেতে খেলছেন জাতীয় ক্রিকেট লিগ। সেখানেও খুব একটা সুবিধা করতে পারছেন না এই ব্যাটার। ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে না পেরলেও জাতীয় লিগের চলমান রাউন্ডে বল হাতে জ্বলে উঠেছেন মিঠুন। ঢাকার বিপক্ষে ক্যারিয়ার সেরা ৭ উইকেট শিকার করে খুলনাকে একাই খেলায় রেখেছেন খুলনার অধিনায়ক। একই ম্যাচে ঢাকার স্পিনার শুভাগত হোমও ৭ উইকেট শিকার করেছেন।

প্রথম ইনিংসে ৩৩৫ রান করেছিল ঢাকা। খুলনা জবাব দিতে নেমে গুটিয়ে গেল ২১৩ রানে। দলকে একশরও বেশি রানের লিড ধরে রাখতে শুভাগত হোম নিয়েছেন ৭ উইকেট। পরে ঢাকা ৮ উইকেটে ২৫৬ রানে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে। ঢাকার দ্বিতীয় ইনিংসে একাই সাত উইকেট নেন খুলনার অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন । কিন্তু ৩৮৯ রানের কঠিন লক্ষ্য পেয়েছে খুলনা, কোনো উইকেট না হারিয়ে ৭ রানে দিন শেষ করেছে তারা।

৮ উইকেটে ১৮০ রানে মঙ্গলবার তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে খুলনা। দলীয় স্কোর দুইশ পার হওয়ার পর ২৬ রানে আউট হন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। ৯ রানে দিন শুরু করা এই ব্যাটসম্যানকে ফেরান সুমন খান। শেষ উইকেটটি পান শুভাগত, ৩ রানে ক্রিজ ছাড়েন আল আমিন হোসেন। ঢাকার হয়ে শুভাগত ৭ টি ও সুমন ৩টি উইকেট শিকার করেন। ১২২ রানের লিড পেয়ে ঢাকা দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে। আব্দুল মজিদ ও রনি তালুকদারের ১৩৯ রানের উদ্বোধনী জুটিতে খুলনার ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যায় ঢাকার ইনিংস। মজিদ ৬১ রান করেন এবং রনি তালুকদার করেন ৮৭ রান। এই দুই ওপেনার ছাড়া ঢাকার কেউ তেমন বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ৩৮৮ রানের লিড নিয়ে ৮ উইকেটে ২৫৬ রানে ইনিগস ঘোষনা করে ঢাকা। বল হাতে মিঠুন চমকে দেন। খুব একটা বল করতে দেখা যায়নি তাকে। কিন্তু এদিন ২০.৫ ওভার বল করলেন, মেডেন দিলেন দুটি। ৭৫ রান খরচায় পেলেন ৭ উইকেট।

তৃতীয় দিনের শেষভাবে কোন বিপদ হতে দেননি খুলনার দুই ওপেনার ইমরুল কায়েস ও অমিত মজুমদার। দিনশেষে ইমরুল ১ ও অমিত ২ রানে অপরাজিত আছেন। চতুর্থ দিনে খুলনাকে ড্র করতে হলে দুই ওপেনারের বড় ইনিংস খেলা খুব প্রয়োজন।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password