নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলায় মেয়ে জামাই কর্তৃক শাশুড়ি ছবি বেওয়া (৬৭) হত্যার অভিযোগে পলাতক জামাইকে অবশেষে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বুধবার (২৪ নভেম্বর) গভীর রাতে উপজেলার ভাবিচা ইউনিয়নের ভবানীপুর হঠাৎপাড়া নিজ বাসায় এ ঘটনা ঘটে। ঘাতক জামাই ইমরানকে জেলার রানীনগর উপজেলার সদরের হাসপাতালের পার্শ্বে নিজ বাড়ি থেকে বেলা ১টায় গ্রেফতার করা হয়। নিহত ছবি উপজেলার ভাবিচা ইউনিয়নের ভবানীপুর হঠাৎপাড়ার মৃত সোহরাব হোসেনের স্ত্রী ও ঘাতক জামাই নওগাঁ জেলার রানীনগর উপজেলা হাসপাতালের পার্শ্বের আবদুর রাজ্জাকের ছেলে।
নিহত ছবির মেয়ে শাকিলা বেগম জানান, ‘তার মা রাতে তিন নাতি নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন আমার বোন জামাই ইমরান ঘরে ঢুকে গলাটিপে মাকে হত্যা করে। আমার মা টিনের ঘরে ছিল। প্রাচীরও টিনের ছিল। টিন কেটে বাড়ীর মধ্যে ঢুকে। কিছুদিন আগে আমার বোনের সাথে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। সেই আক্রোশে বোন জামাই মাকে হত্যা করে। ইমরান আমার বোন সারমিনের সাবেক স্বামী।
স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্য তুশিত কুমার সরকার বলেন, সকালে আমরা জানতে পেরে ঘটনাস্থলে আসি। পরিবারের পক্ষ থেকে ধারণা করছে তার মেয়ে জামাই ব্যক্তিগত আক্রোশে গলাটিপে হত্যা করেছে। ভাবিচা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ওবাইদুল হক বলেন, আমাদের এলাকায় এ ধরণের ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি। সকালে সংবাদ পেয়ে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মতিয়ার রহমান, নিয়ামতপুর থানার অফিসার ইন চার্জ হুমায়ন কবির, ওসি (তদন্ত) লুৎফর রহমান, স্থানীয় ভাবিচা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ওবাইদুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মতিয়ার রহমান বলেন, তিন শিশুর বর্ণনা অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৃদ্ধার মেয়ে জামাই রাতের অন্ধকারে গলাটিপে হত্যা করে। নিয়ামতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ঘাতক ইমরানকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন