নওগাঁর মান্দা উপজেলায় এক শিশু খুনের রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত জুয়েল রানাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ রোববার (২৪ এপ্রিল) তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ বলছে, শিশুটিকে কৌশলে বাঁশঝাড়ে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। এরপর ঘটনাটি প্রকাশিত হওয়ার ভয়ে শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করে বখাটে জুয়েল রানা (১৭)। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে সে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে খুনের বেশ কিছু আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার জুয়েল রানা উপজেলার ভালাইন ইউনিয়নের পশ্চিম লক্ষ্মীরামপুর গ্রামের আমিনুর রহমানের ছেলে। ঘটনায় শিশুটির বাবার করা মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
ভুক্তভোগী শিশুর সহপাঠীরা জানায়, গতকাল শনিবার বিকেলে তারা ওই শিশুর সঙ্গে খেলাধুলা করছিল। পরে তারা বাড়ি চলে গেলে ভুক্তভোগী ওই শিশু একাই সেখানে থেকে যায়। এর পর থেকে ওই শিশুকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না বলে জানায় শিশুরা। ভুক্তভোগী শিশুর মা বলেন, ‘প্রতিবেশীর বাড়িতে মিলাদের অনুষ্ঠান চলছিল। মিলাদের আয়োজনে ব্যস্ত ছিলেন গ্রামের লোকজন। অনুষ্ঠানে আশপাশের শিশুরাও ছোটাছুটি করছিল। আমার মেয়েও তাদের সঙ্গে ছিল। এ জন্য তাকে চোখে চোখে রাখার তেমন প্রয়োজন মনে করিনি। সামান্য অবহেলায় নাড়িছেঁড়া ধনকে আজ হারাতে হলো। আমি জুয়েলের ফাঁসি চাই।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য হারুন-অর-রশীদ বলেন, ‘শনিবার বিকেল ৪টার পর হঠাৎ করেই শিশুটি নিখোঁজ হয়। তাকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যাচ্ছিল না। ইফতারের সময় প্রতিবেশীর বাড়ির অদূরে একটি বাঁশঝাড়ে শিশুর মরদেহ পাওয়া যায়।’
এ প্রসঙ্গে মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর রহমান বলেন, ‘সন্দেহের সূত্র ধরে জুয়েল রানাকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে সে। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে খুনের বেশ কিছু আলামত উদ্ধার করা হয়। আজ রোববার তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন