স্পোর্টস ডেস্ক : করোনাভাইরাসে বিধ্বস্ত ওয়েষ্ট ইন্ডিজ শেষ ম্যাচে এসে পাকিস্তানের বিপক্ষে জ্বলে উঠলো। বৃহস্পতিবার রাতে করাচি জাতীয় স্টেডিয়ামে উইন্ডিজ আগে ব্যাট করে ২০৭ রান সংগ্রহ করে। তাতেও জয় আদায় করে নিতে পারেনি সফরকারিরা। প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ নিজেদের করে নেয়া পাকিস্তান শেষ ম্যাচেও ৭ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয়। যা তাদের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে পাওয়া জয়।
২০৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামার পর অপ্রতিরোধ্য রূপই দেখিয়েছে পাকিস্তানি ব্যাটাররা। বিশেষ করে দুই ওপেনার বাবর আজম এবং মোহাম্মদ রিজওয়ানই এই বিশাল লক্ষ্য পাড়ি দেয়ার কাজটা সহজ করে ফেলেছিল। ১৫.১ ওভারে এই দু’জন গড়ে তোলেন ১৫৮ রানের বিশাল জুটি।
৫৩ বলে ৭৯ রান করে মাঠ ছাড়েন বাবর। তার ইনিংসে ছিল ৯টি চার ও ২টি ছক্কা। এটি চলতি বছরে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাবরের ২০তম অর্ধশতক। ১৯টি অর্ধশতক নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে রিজওয়ান এবং ১৮টি অর্ধশতক নিয়ে তৃতীয়স্থানে বিরাট কোহলি।
এরপর রিজওয়ান ও ফখর জামান দলীয় সংগ্রহকে টেনে নেন ১৮৪ রান পর্যন্ত। রিজওয়ান ছিলেন সেঞ্চুরির পথে। কিন্তু সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ১৩ রান দূরে থাকতে আউট হন রিজওয়ান। মাত্র ৪৫ বলে ১০টি চার ও ৩ ছক্কায় ৮৭ রানের ইনিংস খেলে যান। তার ইনিংসে ছিল ১০টি চার ও ৩টি ছক্কা। আসিফ আলি নেমেই খেলেন ৭ বলে হার না মানা ২১ রানের ক্যামিও। ৭ বল হাতে রেখেই ৭ উইকেটের জয় পায় পাকিস্তান।
এর আগে করাচিতে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারীত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২০৭ রান সংগ্রহ করে। ক্যারবীয়দের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৪ রান করেন অধিনায়ক নিকোলাস পুরান। ৩৭ বলে ২ চার ও ৬ ছক্কায় এই রান করেন পুরান। ব্রুকস ৩১ বলে ৪৯ রানের ইনিংস খেলেন । তার ইনিংসে ছিল ২ চার ও ৪টি ছক্কার মার।
এছাড়া ওপেনার ব্রান্ডন কিং ২১ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায় করেন ৪৩ রান এবং ড্যারেন ব্রাভো করেন অপরাজিত ৩৪ রান। পাকিস্তানের হয়ে মোহাম্মদ ওয়াসিম ২টি উইকেট নেন। ১টি উইকেট নেন শাহনাওয়াজ ধানি। ম্যাচ ও সিরিজ সেরা হয়েছেন পাকিস্তানের উইকেট কিপার ব্যাটার রিজওয়ান।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন