দ্বিতীয়বারের মত হাতে লেখা নিয়ে ভক্ত মনে নানা সমালোচনার সৃষ্টি হয় আবার কারো কারো বুঝতেই কষ্ট হয়ে গেছে এটা কি লিখেছে? আবার কেউ বুঝেছে এটা 'লাভ মি মোর" আসলে পরী এটা "লাভ মি মোর" লিখেনি। কি লিখেছে পরীমনি নিজেই দিলেন এর ব্যাখ্যা।
অশ্লীল ও অস্বাভাবিক বার্তা ‘...ক মি মোর’ নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন পরীমণি নিজেই। আদালত প্রাঙ্গণে হুডখোলা গাড়িতে দাঁড়িয়ে অপেক্ষমাণ ভক্তদের স্যালুট জানানোর সময় মেহেদিতে লেখা সেই বার্তাটি ক্যামেরায় ধরা পড়ে।
যথারীতি এই বার্তা নিয়েও চলছে ভক্ত-সমালোচকদের মধ্যে চুল চেরা বিশ্লেষণ। উঠেছে গুঞ্জন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবিটি ক্রমেই ভাইরাল হচ্ছে। কিন্তু এবারের ‘...ক মি মোর’ স্লোগানের ব্যাখ্যা আর মেলানো যাচ্ছে না। কারণ, আগের স্লোগান ‘ডোন্ট লাভ মি বিচ’-এর সঙ্গে এবারেরটি বেশ বিপরীত।
এবারের বার্তাটি প্রসঙ্গে আজ বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) পরীমণির সঙ্গে কথা হয় দেশের প্রথম সারির একটি অনলাইন নিউজপোর্টালের। ওই পোর্টালটির প্রতিবেদককে দেয়া সাক্ষাৎকারে পরীমণি বলেন, “আমার কষ্ট লাগছে এখন। অনেকেই আমার বার্তাটি ঠিক বুঝতে পারছেন না, ভুল বুঝছেন। সবাই ভাবছেন আমি লিখেছি ‘লাভ মি মোর’। আসলে তো আমি লিখেছি ‘...ক (গালি) মি মোর’।’’
কিন্তু কেন এই বার্তা? এখন তো সবই আপনার অনুকূলে। কার উদ্দেশে এটি বলেছেন? জবাবে পরীমণি বলেন, ‘যারা আমার জীবন নিয়ে খেলতে চায় বা ঘাটতে আসে, তাদের সবাইকে আমি ওয়েলকাম করছি। আসো। ওয়েলকাম। আমি প্রস্তুত তোমাদের সঙ্গে এই খেলায় অংশ নিতে। দম যতদিন আছে, আমি শেষ অবধি এই খেলায় লড়ে যাবো।’
আগের স্লোগান ‘ডোন্ট লাভ মি বিচ’ সম্পর্কে পরী তখনই বলেছিলেন, ‘এই স্লোগান তাদের উদ্দেশে, যারা সামনে একরকম, পেছনে অন্যরকম। যারা বহুরূপী- তাদের জন্য এই বার্তা দিয়েছি।’
বনানী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় আজ (১৫ সেপ্টেম্বর) আদালতে হাজিরা দিয়েছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত চিত্রনায়িকা শামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে পরীমণি। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদারের আদালতে বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে তিনি উপস্থিত হোন।
এদিন আদালত চত্বরে প্রবেশের সময় গাড়িতে দাঁড়িয়ে ভক্তদের অভিবাদন জানান পরী। সেই সময় তার হাতের তালুতে মেহেদি রঙে লেখা ‘রহস্যময়’ বার্তা চোখে পড়ে। যেখানে লেখা, ‘... মি মোর’।
এবারের আদালত কেমন লাগলো, আবার কবে হাজিরা। এসব প্রশ্নের জবাবে পরীমণি ওই প্রতিবেদককে বলেন, ‘আদালত এখন আমার ভালোই লাগে। এখন তো সয়ে গেছে। আর সামনে হাজিরা... (এই দীপু মামা হাজিরা হবে?), হুম ১০ অক্টোবর।’
কথা প্রসঙ্গে পরী বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে তিনি সর্দি-জ্বরে ভুগছেন। ডেঙ্গু-করোনার টেস্ট করিয়েও কোনও পজিটিভ ফল পাননি। বলেন, ‘টানা ৫টা দিন বিছানায় পড়ে ছিলাম। আজ (১৫ সেপ্টেম্বর) আদালতে গিয়ে একটু ভালো লাগছে।’
নিজের নিরাপত্তার কথা ভেবে পরীমণি আজ নিজেই হাজতখানার গেট দিয়ে প্রবেশ করেন। এ সময় পুলিশ ও তার কিছু আত্মীয় হাজতখানার ভেতরে প্রবেশ করেন।
হাজিরা দেওয়ার সময় পরীমণির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভি তার (পরীমণির) সাদা রঙের গাড়ি, মোবাইল, ল্যাপটপসহ অন্যান্য জব্দ হওয়া জিনিসপত্র চেয়ে আদালতে আবেদন করেন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন