ভোলার চরফ্যাশনের গৃহবধূ শাশ্বতী রায় চৈতী'র অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য উদঘাটন, থানা-পুলিশের পক্ষপাতমূলক আচরণের প্রতিবাদ এবং সিআইডি কর্তৃক সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন চৈতীর পরিবার৷ ২১ মে চরফ্যাশন প্রেসক্লাবের হলরুমে দুপুর ১২ টায় সকল সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চৈতীর বাবা সুভাষ চন্দ্র রায়৷
সংবাদ সম্মেলনে সুভাষ চন্দ্র রায় বলেন, ঘটনার প্রথম থেকে চরফ্যাশন থানা পুলিশ আসামি পক্ষের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে একে আত্মহত্যা বলে প্রমাণিত করার চেষ্টা করে আসছে৷ এমনকি আসামিপক্ষের সাথে আঁতাত করে ওসি তদন্ত রিপন কুমার সাহা ভিসেরা ও পোস্টমর্টেম রিপোর্ট করার প্রয়োজনীয় আলামত নষ্ট করেছে৷ মামলার এজাহারে আমার কোন কথা লেখা হয়নি৷ ঘটনার পরদিন থানায় আমি হত্যা মামলা করতে গেলে তারা আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলা লিখে আসামিপক্ষের কথা অনুযায়ী আইনের ফাঁকফোকর রেখে আমার কাছ থেকে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নিয়েছে৷ তিনি আরও বলেন, আমি এবং আমার পরিবার প্রথম থেকে দাবি করে আসছি যে, চৈতী কে খাবারের সাথে চেতনানাশক কিছু খাইয়ে শশুর-শাশুড়ি মিলে হত্যা করে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রেখেছে৷
পুলিশের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে যে পোস্টমর্টেম হয়েছে তাতে নাকি কোনো ফরেনসিক টেস্ট বা ভিসেরা টেস্ট করা হয়নি৷ তাই পোস্টমর্টেম রিপোর্টে প্রদত্ত আত্মহত্যার সিদ্ধান্তের সাথে আমরা একমত হতে পারছি না৷ তদন্ত কর্মকর্তা ও থানা পুলিশের উপর আমাদের যে নাবিশ্বাস ছিলো পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পেয়ে তা সত্যি হয়েছে৷ এমন অবস্থায় আমরা পুনরায় লাশের পোস্টমর্টেমসহ পক্ষপাতমুক্ত সঠিক ও সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে মামলাটি পিবিআই বা সিআইডিতে স্থানান্তরের দাবি জানাচ্ছি৷
উল্লেখ্য চরফ্যাশন পৌরসভা ৪নং ওয়ার্ড কলেজ পাড়ার সুভাষ চন্দ্র রায় এর মেয়ে শাশ্বতী রায় চৈতীর সাথে গত ১ ফেব্রুয়ারী ২০২১ খ্রি: তারিখে পার্শ্ববর্তী সমির মজুমদার এর বড় ছেলে মানস মজুমদার শাওন এর পারিবারিক ভাবে বিবাহ হয়৷ অনেক ঘটনার পর ৫ মার্চ ২০২২ খ্রিঃ তারিখ দিবাগত রাতে গৃহবধূ চৈতীর লাশ শশুর বাড়ির নিজ কক্ষে ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় পুলিশ উদ্ধার করে৷
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন