শহরের চেয়ে গ্রামে বেশি নিত্যপণ্যের দাম

শহরের চেয়ে গ্রামে বেশি নিত্যপণ্যের দাম

দেশে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির চাপে সাধারণ মানুষ। তবে শহরের চেয়ে গ্রামে নিত্যপণ্যের দাম বেশি বেড়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। সংস্থাটির মাসিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন তথ্য। এতে বলা হয়েছে, জানুয়ারিতে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি সামান্য কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ, যা ডিসেম্বরে ছিল ৬ দশমিক ০৫ শতাংশ। জানুয়ারিতে শহরের সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ।

কিন্তু গ্রামে এ হার ৬ দশমিক ০৭ শতাংশ। পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেছেন, বিবিএস-এর স্যাম্পল এরিয়া থেকে তথ্য এনে মূল্যস্ফীতির প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়। সুতরাং এখানে যে তথ্য আসবে, সেটাই প্রতিবেদনে প্রতিফলিত হয়েছে। তবে গ্রামের চেয়ে শহরে নিত্যপণ্যের জিনিসের দাম কম হওয়াটা অস্বাভাবিক। কারণ গ্রাম থেকে উৎপাদন হয়েই সবকিছু শহরে আসে। ফলে শহরে দাম কিছুটা বেশি হতে পারে; কিন্তু গ্রামে তো কম থাকার কথা।

বিবিএস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত জানুয়ারিতে খাদ্যপণ্যের ক্ষেত্রে গ্রামে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৯৪ শতাংশ। তবে শহরে এই হার ৪ দশমিক ৮৫ শতাংশ। অর্থাৎ একই পণ্য গ্রাম থেকে কিনতে হলে শহরের তুলনায় বেশি দাম দিতে হচ্ছে। ওই হিসাবে দেখা গেছে, গ্রামের তুলনায় শহরে নিত্যপণ্যের দাম কম। খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, গ্রামে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৬ দশমিক ০৭ শতাংশ আর শহরে হয়েছে ৬ দশমিক ১৭ শতাংশ। এক্ষেত্রে শহরের চেয়ে গ্রামে দাম কিছুটা কম।

সার্বিক মূল্যস্ফীতির ক্ষেত্রে চাল, আটা-ময়দা, চিনি, ব্রয়লার মুরগি, ডিম, পেঁয়াজ, সবজিসহ প্রায় সব ধরনের খাদ্যপণ্যের দামই বেড়েছে। বিবিএস বলছে, ডিসেম্বরে এক লিটার তেল কিনতে ভোক্তার খরচ হয়েছে গড়ে ১৫৬ টাকা ২৫ পয়সা, জানুয়ারিতে যা ছিল ১৬০ টাকা ১০ পয়সা। বিবিএস-এর মতে, সার্বিকভাবে দেশে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়ে হয়েছে ৫ দশমিক ৬০ শতাংশ, যা ডিসেম্বরে ছিল ৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এছাড়া খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি সামান্য কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ২৭ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৭ শতাংশ।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password