"গ্রাম আদালত কার্যক্রম" সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরিতে প্রচার- প্রচারণা কার্যক্রম পরিচালনায় স্হানীয় অংশীজনদের সাথে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রবিবার সকাল ১০:০০ ঘটিকায় থেকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত "গ্রাম আদালত কার্যক্রম" সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরিতে প্রচার- প্রচারণা কার্যক্রম পরিচালনায় স্হানীয় অংশীজনদের সাথে সমন্বয় সভায় সভপতিত্ব করেন জনাব মো:মাছুদুর রহমান, জেলা প্রশাসক(ভারপ্রাপ্ত), নাটোর, আরও উপস্থিত ছিলেন জনাব মো: রওশন আলী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( শিক্ষা ও আইসিটি) এছাড়াও ছিলেন নাটোর জেলার সমাজসেবা কর্মকর্তা, জেলা যবু উন্নয়ন কর্মকর্তা, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকতা, জেলা তথ্য অফিসার, আনসার ও ভিডিপি অফিসার, ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্মকর্তাসহ জেলার বিভিন্ন দপ্তরের দপ্তর প্রধানগণসহ নাটোর জেলার সকল উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ, বাংলাদেশের গ্রাম আদালত সক্রিয়করন ৩য় পর্যায় প্রকল্পের ডিষ্ট্রিক্ট ম্যানাজার মো: শফিকুর রহমান।
সভার উদ্দেশ্য নিয়ে প্রকল্পের ডিষ্ট্রিক্ট ম্যানাজার মো: শফিকুর রহমান বলেন, প্রচার - প্রচারণা কার্যক্রমের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে স্হানীয় বিভিন্ন সরকারি / বেসরকারি সংস্থা এবং স্হানীয়ভাবে পরিচালিত নিজস্ব প্রচার, ও প্রচারণা বিষয়ক( আউটরিচ) কার্যক্রমের সাথে যোগাযোগ, সমন্বয় এবল পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে স্হানীয় পর্যায়ে গ্রাম আদালতের সেবা সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য আদান প্রদান, প্রচারণা এবং সচেতনতা বাড়ানোর মাধ্যমে প্রান্তিক জনগনের জন্য গ্রাম আদালতের সেবা প্রাপ্তীর সুযোগ নিশ্চিত করা। জনাব মো: রওশন আলী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( শিক্ষা ও আইসিটি) তিনি গ্রাম আদালত বিষয়ে প্রচার প্রচারণায় উপস্থিত অংশীজনদের সহযোগিতা বিষয়ে বলেন, দপ্তর প্রধানদের বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রমে গ্রাম আদালতের এখতিয়ার ৭৫০০০/- পঁচাত্তর হাজার থেকে ৩০০০০০/- (তিন লক্ষ্য) টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং দ্রুত সময়ে অল্প খরচে গ্রাম আদালতে মামলা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় তা প্রচার করা।
মসজিদের ইমামদের মাধ্যমে গ্রাম আদালতের কার্যক্রম প্রচার প্রচারণা করা। গ্রাম আদালতের কার্যক্রম প্রচার প্রচারণা পরিকল্পনার জন্য উন্মুক্ত আলোচনা করা হয়। সভাপতির সমাপনী বক্তব্যে জনাব, মো: মাছুদুর রহমান জেলা প্রসাশক( ভারপ্রাপ্ত) নাটোর, বলেন "গ্রাম আদালতের কার্যক্রমকে গতিশীল করার লক্ষ্যে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব অথবা হিসাব সহকারী কাম - কম্পিউটার অপারেটরদের ভূমিকা সক্রিয় হতে হবে। গ্রাম আদালতের যেসকল নথিপত্র রয়েছে সেগুলো যথা সময়ের মধ্যে নথি জাত করা। এখতিয়ার ৭৫০০০/- পঁচাত্তর হাজার থেকে ৩০০০০০/- (তিন লক্ষ্য) টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে তার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে চেয়ারম্যানদের মাইকিং এর ব্যবস্হা করা।
প্রকল্পটি বাংলাদেশের দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর ন্যায়বিচার প্রাপ্তির পথকে সহজ করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার, ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন, ইউএনডিপি আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় স্হানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের স্হানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়িত হচ্ছে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন