কুমিল্লা জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের আয়োজনে জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে বিদেশ ফেরত ৩০ অসহায় প্রবাসী পরিবারকে কম্বল প্রদান করেন প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম।
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) কুমিল্লা জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের আয়োজনে জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সম্মেলন কক্ষে কম্বল ভিতরণ অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়।
এছাড়া উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ মোঃ কামরুজ্জামান এবং সভাপতি ছিলেন জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারি পরিচালক দেবব্রত ঘোষ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন অভিবাসী তথ্য কেন্দ্র বাংলাদেশের কাউন্সেলর গোলাম মোস্তফা, ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের কাউন্সেলর মোঃ ওসমান গনি, রামরু’র জেলা সমন্বয়ক শান্তা রানী সূত্রধর, ওয়্যারবী ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি, সিসিডিএ প্রতিনিধি এবং সাংবাদিকসহ ১৫০ জন বিদেশগামী অভিবাসী কর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম প্রধান অতিথির বক্তব্যে দেশের অর্থনীতিতে প্রবাসীদের প্রেরিত রেমিটেন্সের গুরুত্ব আলোচনা করেন। হুন্ডির মাধ্যমে রেমিটেন্স না পাঠিয়ে ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠানোর আহবান জানান তিনি। কাজ ও ভাষা শিখে বৈধ পথে বিদেশ যাওয়ার পরামর্শ দেন। বিমান বন্দরে আনুষ্ঠানিকতা, আর্থিক স্বাক্ষরতা, মানব পাচার, উচ্চ অভিবাসন ব্যয়, দালালদের দৌরাত্ন নিয়ে কথা বলেন তিনি। প্রবাসীদের কল্যাণে ও স্বার্থ রক্ষায় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের নানামূখী উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেন।
বিশেষ অতিধি কুমিল্লা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, বিদেশ যাবার আগে যেকোন ট্রেডে প্রশিক্ষণ নিয়ে বিদেশ গেলে বেতন যেমন বেশি পাওয়া যায় আবার চাকরি স্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তিনি জানান, টিটিসিতে পরিচালিত অধিকাংশ কোর্স করতে তেমন কোন টাকা খরচ হয় না বরং অনেক কোর্স আছে যেখানে প্রশিক্ষণার্থীরা কোর্স শেষে প্রায় ১০ হাজার টাকা পায়। বিদেশ ফেরতদের জন্য আরপিএল সুবিধা রয়েছে।
অনুষ্ঠানের সভাপতি দেবব্রত ঘোষ বিডিটাইপকে জানান, কুমিল্লা জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিদেশগমনেচ্ছু, বিদেশগামী এবং বিদেশ ফেরত অভিবাসী কর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের অধিকার সুরক্ষা এবং সার্বিক কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। মানব পাচার, উচ্চ অভিবাসন ব্যয়, দালালদের দৌরাত্ন ও প্রতারণা রোধে জনসাধারণের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন পরিষদ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হাট-বাজারে ব্যাপক প্রচারণা অব্যাহত আছে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন