স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমাতে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের জন্য করোনা টিকার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। কিন্তু টিকা নিতে এসে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিতসহ নানা ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার শিক্ষার্থীদের। কর্তৃপক্ষের সমন্বয়হীনতা আর দায়িত্বশীলদের উদাসীনতার কারণে এ পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে তাদের।
একবার এখানে, তো আরেকবার ওখানে। এভাবে ঘুরে ঘুরেই ক্লান্ত। জানা গেছে, এ উপজেলায় প্রায় ৫০ হাজার শিক্ষার্থীকে টিকা প্রদানের লক্ষ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য ও শিক্ষা বিভাগ কার্যক্রম শুরু করে। বুধবার সকাল ১০টা থেকে উপজেলার ডাকবাংলো, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস ও উলিপুর সরকারি কলেজ টিকা কেন্দ্রে সহস্রাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
এ সময় বেশিরভাগ শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের মুখে ছিল না মাস্ক, ছিল না সামাজিক দূরত্বও। স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে যে যার মতো ছোটাছুটি করছিল। তবে এ বিষয়ে কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি সংশ্লিষ্ট কর্তা ব্যক্তিদের। বাকরের হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছি।
একবার শিক্ষা অফিসে, আবার ডাকেন ডাকবাংলোতে, আরেকবার সরকারি কলেজে। কচিকাঁচা শিক্ষার্থীদের নিয়ে যেন ভোগান্তির যেন শেষ নেই! কয়েকজন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, জন্ম নিবন্ধনের দুইকপি ফটোকপি প্রতিষ্ঠান প্রধান কর্তৃক সত্যায়িত করে নিয়ে এলেও তা কোনো কাজে লাগছে না। এগুলো না দেখেই টিকা দিচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।
কে টিকা নিল, কে নিল না পরবর্তীতে তা বোঝার উপায় কি? এমন প্রশ্ন অনেকের। এ ব্যাপারে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহ মো. তারিকুল ইসলাম কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুভাষ চন্দ্র সরকার বলেন, প্রথম দিন কিছুটা সমস্যা হয়েছিল। পরবর্তী দিন সকলের সমন্বয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে টিকা প্রদান করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন