মুমিনুল হক বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসানকে জানিয়েছেন, তিনি আর টেস্ট দলের অধিনায়ক হতে চান না। মঙ্গলবার ঢাকায় বিসিবি সভাপতির বাসায় নাজমুলের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন। বৈঠকের পর মুমিনুল গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলে বলেন, ব্যাট হাতে অবদান রাখতে ব্যর্থতাই তার অধিনায়কত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্তের প্রধান কারণ। “আমি অধিনায়ক হিসেবে দলের জন্য অবদান রাখতে ব্যর্থ হয়েছি। আমি মনে করি এখন অন্য কাউকে অধিনায়কত্ব দেওয়ার সময় এসেছে। আমার যা বলার ছিল আমি বলেছি, এখন সিদ্ধান্ত তাদের (বিসিবি)।
মুমিনুল বলেন, বিসিবি সভাপতি ব্যক্তিগতভাবে তাকে অধিনায়ক হিসেবে চালিয়ে যেতে বলেছেন, কিন্তু তিনি আর অধিনায়ক হিসেবে থাকতে চান না। বিসিবি 2 জুন তাদের পরবর্তী বোর্ড সভায় অধিনায়কত্বের পরিস্থিতি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বলে আশা করা হচ্ছে। তৎকালীন টেস্ট অধিনায়ক সাকিব আল হাসান আইসিসি কর্তৃক নিষিদ্ধ হওয়ার পর মুমিনুলকে 2019 সালে টেস্ট অধিনায়কত্ব দেওয়া হয়েছিল। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ 17টি টেস্ট খেলে তিনটি জিতেছে। মাউন্ট মাউঙ্গানুইতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক টেস্ট জয় সেই জয়গুলোর মধ্যে একটি। বাকি দুটি জয় এসেছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। ব্যাট হাতে লীন প্যাচের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন মুমিনুল। তিনি তার শেষ নয় ইনিংসে মাত্র একবার ডাবল ফিগারে পৌঁছেছেন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের ০-১ সিরিজে পরাজয়ে মুমিনুল তার তিন ইনিংসে ২, ৯ ও শূন্য করেন।
মুমিনুল বলেন, “আপনি যখন ভালো খেলবেন, তখন অধিনায়ক হিসেবে দল হেরে গেলেও খেলোয়াড়দের উৎসাহ দিতে পারেন। আমি ভালো খেলছি না, দলও ভালো করছে না। এই অবস্থায় অধিনায়ক হিসেবে চালিয়ে যাওয়া খুবই কঠিন। আমি যদি সততার সাথে চিন্তা করি, আমি মনে করি অধিনায়ক হিসেবে চালিয়ে না যাওয়াই ভালো।”
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের পর বিসিবি সভাপতির সঙ্গে কথা হয় মুমিনুলের। সেখানে তিনি নাজমুলকে আরও বলেন, দলের অধিনায়কত্বের চাপ তার ব্যাটিংকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করছে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের আসন্ন সিরিজের জন্য মুমিনুলকে অধিনায়ক করা হয়েছে। মুমিনুলকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হলে তার জায়গায় অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান আসার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। জানা গেছে, পরবর্তী টেস্ট অধিনায়ক হওয়ার বিষয়ে তিনি ইতিমধ্যেই বোর্ডের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা করেছেন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন