সরকার বিভিন্নভাবে বিভিন্ন দেশের সাথে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে সমাধা চাইলেও যেন কোনভাবেই মিলছে না সমাধা। তবে অবশেষে নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ভাসানচরে অবস্থিত রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা দিতে চুক্তি করবে জাতিসংঘ। শুরুতে আপত্তি তুললেও পরে ভাসানচর ঘুরে দেখে জাতিসংঘ এই চুক্তিতে রাজি হয়। একই সঙ্গে জাতিসংঘের সংস্থাগুলোসহ অন্যান্য এনজিও সেখানে কাজ শুরু করতে রাজি হয়েছে।

আজ শনিবার (৯ অক্টোবর) বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে জাতিসংঘ একটি সমঝোতা স্মারক সই করবে। গত বুধবার (৬ অক্টোবর) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা সেলিম হোসেন এ তথ্য জানান।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় জানায়, শনিবার দুপুর ১২টায় সচিবালয়ে এই চুক্তি সই হবে। চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় এবং জাতিসংঘের পক্ষে ইউএনএইচসিআর সই করবে। এই সমঝোতা স্মারক সই করার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে ভাসানচরকেন্দ্রিক সব ধরনের দূরত্ব দূর হবে বলে আশা করা হচ্ছে। চুক্তির আলোকে জাতিসংঘ ভাসানচরে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

প্রায় ২০ হাজারের মতো রোহিঙ্গাকে ইতোমধ্যে ভাসানচরে নেয়া হয়েছে। আগামী এপ্রিলের মধ্যে আরও ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে সেখানে নেয়ার লক্ষ্য সরকারের।

গণহত্যা ও নির্যাতনের মুখে ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে লাখ লাখ রোহিঙ্গা নাগরিক কক্সবাজারে এসে আশ্রয় নিতে থাকে। এর আগেও বিভিন্ন সময় দলে দলে রোহিঙ্গারা এসে কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়। এতে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা নাগরিক এখন কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরগুলোতে অবস্থান করছে। পরবর্তীতে কক্সবাজারের সামাজিক সমস্যা সৃষ্টির প্রেক্ষাপটে তাদের একটি অংশকে হাতিয়ার কাছে মেঘনা মোহনার দ্বীপ ভাসানচরে স্থানান্তরের কার্যক্রম শুরু করে সরকার।