পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় ১৫ বছরের এক কিশোরীর রহস্যজনক মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে মৃত কিশোরীর স্বামী মো. আব্দুল্লাহ আকন (২১) দোকান থেকে কেক কিনে তাকে খাওয়ানোর কিছুক্ষণ পর বমি করতে থাকে এবং অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই কিশোরী। রাতেই স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়ে কিছুটা সুস্থ হলে বাসায় ফেরেন স্বামী-স্ত্রী। পরের দিন শুক্রবার সকালে আবারও ওই কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়।
পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ভান্ডারিয়া থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের হয়েছে বলে জানিয়েছে থানা পুলিশ। নিহত কিশোরীর স্বামীর বাড়ি ভান্ডারিয়া উপজেলার তেলিখালী ইউনিয়নের জুনিয়া গ্রামে। তার বাবার বাড়ি পিরোজপুর জেলার সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নের বৈরামপুর গ্রামে। ৭ মাস পূর্বে আব্দুল্লাহর সঙ্গে তার বাল্যবিয়ে হয়। মৃত কিশোরীর স্বামী আব্দুল্লাহ আকন বলেন, বৃহস্পতিবার বিকালে দোকান থেকে কেক এনে তাকে খাওয়ানো হলে কিছুক্ষণ পর আমার স্ত্রীর বমি শুরু হয়।
আমি বাসায় এসে স্থানীয় সাফা বাজারের একটি ক্লিনিকে নিয়ে গেলে চিকিৎসার পরে একটু সুস্থ্ হলে বাসায় নিয়ে আসি। রাতে ফের বেশ কয়েকবার বমি করে। আজ শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রেজাউল ইসলাম জানান, শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ওই কিশোরীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে।
মরদেহ দেখে বিষাক্ত কিছু খাওয়ার সিমটম পাওয়া যায়নি। ময়না তদন্ত করার পরে মৃত্যুর আসল কারণ উঠে আসবে। ভান্ডারিয়া থানার এসআই গোলাম হাফিজ জানান, হাসপাতাল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং মৃত নারীর স্বামী আব্দুল্লাহকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের হয়েছে। কিশোরীর মা পারভিন বেগম জানান, ৭ মাস পূর্বে আমার মেয়ে এবং ভান্ডারিয়ার বাসিন্দা শাহ আলম আকনের ছেলে আব্দুল্লাহর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হলে তারা কাউকে না জানিয়ে নিজেরা নিজেরা বিয়ে করে। আজ আমার মেয়ের জীবন শেষ। আল্লাহ জানে আমার মেয়ের সঙ্গে কি হয়েছে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন