সুদের টাকা আদায় করতে গাছের সাথে শিকল দিয়ে রুহুল আমীন শিকারী (৩৫) নামের এক যুবককে বেঁধে রাখা হয়েছে। বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলার বিশারীঘাটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মিলন ও মিরাজ নামের দুই ভাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) রাতে নিজ বাড়ি থেকে তাদের গ্রেফতার তরা হয়। শনিবার (১৬ এপ্রিলৈ) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতারকৃত মিলন ও মিরাজ খান বিশারীঘাটা গ্রামের চাঁনমিয়া খানের ছেলে। স্থানীয়রা জানান, গ্রেফতার হওয়া দুই ভাই মিলন ও মিরাজ সুদের টাকা আদায় করতে তাদের প্রতিবেশী ইউনুছ শিকারীর ছেলে ব্যবসায়ী রুহুল আমীন শিকারীকে শুক্রবার বেলা ১০টা থেকে ৩টা পর্যন্ত হাতে পায়ে শিকল পেঁচিয়ে গাছের সাথে তালা মেরে আটক করে রাখে।

স্থানীয়রা এ দৃশ্য মোবাইলে ধারণ করে ফেসবুকে ছড়িয়ে দিলে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমলোচনার শুরু হয়। খবর পেয়ে রাত সাড়ে ৭টার দিকে থানা পুলিশ চাঁনমিয়ার বাড়ি থেকে তার দুই ছেলেকে আটক করে। নির্যাতনের শিকার রুহুল আমীন শিকারী বলেন, বছরে লাভ হিসেবে ১০০ মণ ধান দেয়ার শর্তে ৩ বছর আগে মিলন খানের কাছ থেকে তিনি এক লাখ টাকা ধার নেন। শর্ত মোতাবেক টাকা দিতে না পারায় শুক্রবার রুহুল আমীনকে তার দোকান থেকে তুলে নিয়ে শিকল দিয়ে গাছের সাথে বেঁধে রাখেন পাওনাদার মিলন ও তার ভাই মিরাজ।

বেলা ৩টার দিকে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে শিকলমুক্ত হন রুহুল আমীন। মোড়েলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুর রহমান বলেন, শিকলে বেঁধে মারপিট করে সুদের টাকা আদায়ের বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। ভুক্তভোগী যুবক এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলার আসামি দুই ভাই মিলন ও মিরাজকে তৎক্ষণাৎ গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।