ঋণ ও শুল্ক সুবিধা পেতে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কোম্পানি ব্যাংকের কাছে সম্পদের প্রতারণামূলক ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়েছে। তদন্ত শেষে নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় দেশটির একটি আদালতের কাছে এ তথ্য জানায়। বলা হয়, তদন্তকারীরা ট্রাম্পের কোম্পানির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন।
বুধবার (১৯ জানুয়ারি) এবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
আদালতের কাছে বলা হয়, এ ব্যাপারে একটি দেওয়ানি মামলা করা হবে কি না কর্তৃপক্ষ এখনো সে সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে তদন্তের অংশ হিসেবে ট্রাম্প ও তার দুই সন্তানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা দরকার।
অন্যদিকে ট্রাম্প ও তার আইনজীবীরা বলছেন, তদন্ত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
আদালতের নথিতে অ্যাটর্নি জেনারেল লেটটিয়া জেমসের কার্যালয় তদন্তের বিশদ বিবরণ দিয়েছে। যেখানে বলা হয়, ট্রাম্পের কোম্পানি একদিকে যেমন ঋণ সুবিধা পেতে অতিরিক্ত সম্পদ দেখিয়েছে অন্যদিকে শুল্কের বোঝা কমাতে কোনো জমির মূল্য সম্পর্কে ভুল তথ্য দিয়েছে।
জেমসের অফিস আদালতের কাছে জানায়, তদন্তের স্বার্থে ট্রাম্প, তার মেয়ে ইভাঙ্কা ট্রাম্প ও ছেলে ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়রের সাক্ষ্য প্রয়োজন।
আদালতে তদন্তকারীদের উদ্বৃতি দিয়ে জানানো হয়, ট্রাম্পের কোম্পানি ঋণ, বীমা কভারেজ, শুল্কসহ প্রচুর অর্থনৈতিক সুবিধা পেতে সম্পদের বিভ্রান্তিকর তথ্য ব্যবহার করেছে।
এদিকে আদালতের আদেশ ঠেকাতে চেষ্টা করছে ট্রাম্পের আইনজীবীরা। তারা এ ধরনের পদক্ষেপকে নজিরবিহীন ও অসাংবিধানিক বলে আখ্যা দিয়েছেন। বেআইনিভাবে ট্রাম্পের সাক্ষ্য নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও দাবি করেন তারা।
এদিকে তদন্ত বন্ধ করতে ট্রাম্প গত মাসে ফেডারেল আদালতে জেমসের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তার আইনজীবীরা দাবি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল হচ্ছেন একজন ডেমোক্র্যাট। তাই ট্রাম্প ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটিয়ে রিপাবলিকানদের সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন করছেন তিনি।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন