হবিগঞ্জে প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক তরুণীকে স্তন কেটে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছে। গুরুতর জখম ওই তরুণীর দেহে এখন শতাধিক সেলাই। এ ঘটনায় ৬ জনের বিরুদ্ধে মাধবপুর থানায় মামলা দায়ের হলেও পলাতক প্রধান আসামি সুমন'সহ তার সহযোগীরা। হবিগঞ্জের মাধবপুরে উপজেলার বাঘাসুরা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে সোমবার মাধবপুর থানায় একটি মামলা হয়েছে।
গুরুতর আহত ওই তরুণী (১৯) সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সোমবার তিনি বাড়িতে আসেন। স্থানীয় সূত্র জানায়, মানিকপুর গ্রামের মারুফ মিয়ার বখাটে ছেলে সুমন (২২) প্রায়ই ওই তরুণীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছে। কিন্তু তিনি প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। ১৭ এপ্রিল রাতে পার্শ্ববর্তী ঘরে থাকা ফুফু প্রতিদিনের মতো সেহরি খাওয়ার জন্য তাকে ডেকে দেয়। এ সময় তিনি ঘুম থেকে উঠে টিউবওয়েলে মুখ ধুতে গেলে ওতপেতে থাকা সুমন ও তার বন্ধু নাইম ওই তরুণীর মুখে চেপে ধরে ধারালো ছুরি দিয়ে দুই স্তনসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে।
পরে বাম হাতের কব্জি কাটার চেষ্টা করলে ওই তরুণীর চিৎকারে বাবা ও আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে বখাটে সুমন ও নাইম পালিয়ে যায়। এ সময় তরুণীকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
এ ঘটনায় তরুণীর বাবা সোমবার দুই বখাটে যুবককে অভিযুক্ত করে মাধবপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মাধবপুর থানার পরিদর্শক তদন্ত মো. গোলাম কিবরিয়া হাসান সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে। দ্রুত আসামিদের গ্রেফতার করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন