স্পোর্টস ডেস্ক : বয়সকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে একের পর এক ম্যাজিক পারফর্মেন্স করে চলেছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। যে বয়সে ফুটবলাররা অবসরে চলে যায়, অনেকেতো এই বয়সেই কোচও হয়ে যেন সেই বয়সে রোনালদো একের পর এক গোল করে যাচ্ছেন আর দলের জয়ে রাখছেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান। গতরাতে চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে অন্তিম মুহূর্তে গিয়ে পার্থক্য গড়ে দিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। তার শেষ মুহূর্তের গোলে জয়ে ফিরলো পয়েন্ট হারানোর শঙ্কায় থাকা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। গতকাল বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাতে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ‘এফ’ গ্রুপের ম্যাচে ভিয়ারিয়ালের বিরুদ্ধে ২-১ গোলে জিতেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে বুধবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ‘এফ’ গ্রুপের ম্যাচে ২-১ গোলে জিতেছে স্বাগতিকরা। পাকো আলকাসেরের গোলে ইউনাইটেড পিছিয়ে পড়ার পর সমতা টানেন আলেক্স তেলেস। আর শেষ সময়ে জয়সূচক গোলটি করেন রোনালদো। দুই দলের শক্তির বিচারে কে এগিয়ে থাকবে সেটা বলাটা সহজ হলেও এই ভিয়ারিয়ালের কাছে ইউরোপা লিগের ফাইনালে হেরেছিল ম্যান ইউ। সেই ক্ষত নিয়ে এবার ঘরের মাঠে স্প্যানিশ দলটির বিপক্ষে জয়ের জন্যই মাঠে নামে রোনালদোরা। ম্যাচের শুরু থেকেই বল দখলে এগিয়ে থেকেও তেমন আক্রমণ করতে পারেনি স্বাগতিকরা। প্রথমার্ধে গোল শূন্য ড্রতেই বিরতিতে যায় তারা।
দ্বিতীয়ার্ধের অষ্টম মিনিটে অবশেষে ‘ডেডলক’ ভাঙে ভিয়ারিয়াল। বাঁ থেকে ডানজুমার গোলমুখে বাড়ানো ক্রসে পা বাড়িয়ে টোকায় বল জালে পাঠান আলকাসের। অবশ্য সাত মিনিটের বেশি টেকেনি ভিয়ারিয়ালের লিড। ম্যাচের ৬০ মিনিটের সময় ব্রুনো ফার্নান্দেসের ক্রস ডি-বক্সের বাইরে পান অ্যালেক্স টেলেস। বাম পায়ের জোরালো ভলিতে বল জালে পাঠান ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার, সমতায় ফেরে ইউনাইটেড। ম্যাচে সমতা ফেরার পর আক্রমণ প্রতি আক্রমণ ম্যাচ জমতে শুরু করে। গোলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠে ম্যান ইউ। শেষের দিকে এসে স্বাগতিকদের একের পর এক আক্রমণ ভেস্তে দেয় প্রতিপক্ষে গোলরক্ষক ও রক্ষণভাগ। কিন্তু যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে আর আটকে রাখতে পারেনি ভিয়ারিয়াল। ফ্রেডের কাছ থেকে বল পেয়ে এলিস লিঙ্গার্ডকে বাড়ান রোনালদো। ফিরতি পাসে দারুনভাবে লক্ষ্যভেদ করে দলের জয় নিশ্চিত করেন তিনি। এসময় জার্সি খুলে গোল উদযাপন করায় হলুদ কার্ড দেখেন তিনি।
গতরাতে আরও রকটি রেকর্ড গড়েছেন রোনালদো। গতরাতে ভিলারিয়ালের বিপক্কখে মাঠে নামে সাথে সাথে চ্যাম্পিয়নস লিগ প্রতিযোগিতার সর্বাধিক ম্যাচ খেলার রেকর্ডটি নিজের করে নিয়েছেন সিআরসেভেন। এতদিন সর্বাধিক ম্যাচ খেলার রেকর্ডটি ছিল এক সময়ের সতীর্থ ইকার ক্যাসিয়াসের দখলে। চ্যাম্পিয়নস লিগে ক্যাসিয়াস খেলেছিলেন ১৭৭ ম্যাচ। চ্যাম্পিয়নস লিগে রোনালদোর ম্যাচ সংখ্যা এখন ১৭৮টি। কালকের রেকর্ডের ফলে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ ইতিহাসের মোটামুটি সব বড় রেকর্ডই এখন পর্তুগিজ তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর দখলে। নিজের দুর্দান্ত এমন রেকর্ড গড়ার দিনে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড পয়েন্ট হারাতে বসেছিল। নিজের রেকর্ড গড়ার দিনেই শেষ মুহুর্তে গোল করে ম্যানইউকে প্রায় হারাতে যাওয়া পয়েন্টও এনে দিলেন রোনালদো। এই জয়ের ফলে ‘এফ’ গ্রুপে দুই ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে এফ গ্রুপের ৩ নম্বরে রয়েছে তারা। সমান ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আটলান্টা।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন