নিউ ইয়র্ক: যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসবমূখর পরিবেশে বাংলাদেশের ৫০তম বিজয় দিবস উদযাপন করেছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৫টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শপথ অনুষ্ঠানের সরাসরি সম্প্রচারে যোগদানের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়।
প্রধানমন্ত্রী ও সমগ্র জাতির সঙ্গে দূতাবাসের কর্মকর্তারাও শপথ নেন। যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম. শহিদুল ইসলাম বাংলাদেশি কূটনীতিক ও দূতাবাসের কর্মচারীদের নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে দূতাবাস প্রাঙ্গণে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
এর আগে রাষ্ট্রদূত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ.কে. আবদুল মোমেন এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলমের বাণী দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পাঠ করে শোনান।
সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। এরপর বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার ব্যুরোর প্রিন্সিপাল ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডিন থম্পসন তাদের বক্তব্য প্রদান করেন।
রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলাম তার স্বাগত বক্তব্যে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি এবং বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যিনি একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে সমগ্র জাতিকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
তিনি ত্রিশ লাখ শহীদ এবং মুক্তিযুদ্ধের সময় অসম্মানিত দুই লাখ নারীর সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের জন্য গভীর শ্রদ্ধা জানান। আমরা একটি মুক্ত, উন্মুক্ত, এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য একই দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বাইডেন প্রশাসনের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে ইচ্ছুক বলে উল্লেখ করেন তিনি।
আমি বিশ্বাস করি আমাদের দেশগুলো বন্ধুত্ব ও অংশীদারিত্বের চেতনায় সম্পর্ককে আরও জোরদার ও এগিয়ে নিতে সক্ষম হবে,” বলেন রাষ্ট্রদূত শহিদুল ইসলাম। ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রিন্সিপাল ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডিন থম্পসন বলেছেন, 'আগামী ২০২২ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করবে।
যেহেতু আমরা সেই গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলকের অপেক্ষায় আছি, আমি গত ৫০ বছরে ইউএস-বাংলাদেশ সম্পর্কের অগ্রগতিতে সন্তুষ্ট ও গর্বিত।' তিনি আরও বলেন, 'দক্ষিণ এশিয়ার একটি আঞ্চলিক নেতা এবং একটি অর্থনৈতিক শক্তি, বাংলাদেশ যেমন একটি চিত্তাকর্ষক যাত্রা চালিয়ে যাচ্ছে, আসুন আমরা আগামী ৫০ বছরে আমাদের অংশীদারিত্ব অবশ্যই অনেক সুযোগ উপলব্ধি করে একসাথে কাজ করি। মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দিনের অনুষ্ঠান শেষ হয়। অনুষ্ঠানে দূতাবাসের পরিবারের সদস্যরা, বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যরা এবং স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন