স্পোর্টস ডেস্ক :বিগত কয়েকবছর ধরেই বিরাট কোহলির অধিনায়কত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। সম্প্রতি গুঞ্জন উঠেছিল ভারতিয় দলের অধিনায়কের পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হচ্ছে বিরাটকে। হ্যাঁ গুজনটা সত্যি হলো। তবে পুরোপুরি নয়! বিরাট অধিনায়কের পদ ছাড়ছেন তবে শুধুমাত্র টি-টুয়েন্টি ফরম্যাট থেকে এবং তাকে বরখাস্ত নয় বরং তিনিই আগাম টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের পর ভারতিয় দলের টি-টুয়েন্টি দলের অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেয়ার ঘোষনা দিয়েছেন। বিরাটের এমন সিন্ধান্তকে বিচক্ষনতাই বলা যায় কারণ বেশকিছু কারণে বিরটের অধিনায়কত্ব নিয়ে অনেকদিন ধরেই প্রশ্ন উঠছিল।
টি-টুয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে বিরাটের রেকর্ড খুব একটা সমৃদ্ধ নয়। এমনকি আইপিএলেও অধিনায়ক হিসেবে তার পরিসিংখ্যান সুবিধাজনক নয়। টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটে কোহলির কৌশলগত ভুলের দিকটির কথা শোনা গেছে হামেশাই। অপরদিকে আইপিএলে ক্যাপ্টেন হিসেবে রোহিতের চোখ ধাঁধানো সাফল্য রয়েছে রোহিত শর্মার। এছাড়া রোহিত শর্মা জাতীয় দলকে যতটুকু নেতৃত্ব দিয়েছেন, সাফল্য পেয়েছেন। এই বিষয়টি নিশ্চয় বিরাটকে চাপে ফেলে দিচ্ছিল।
দলের মধ্যে বন্ডিং ও ম্যান ম্যানেজমেন্ট প্রায়ই প্রশ্নের মুখে পড়ছিলেন কোহলি। কুম্বলে যখন ভারতিয় দলের কোচ ছিলেন তখন থেকেই এ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন সমালোচকরা। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে আশ্বিনকে বসিয়ে রাখা নিয়েও নিন্দুকরা সামনে নিয়ে আসেন ব্যক্তিগত সমস্যার কথাই। সব মিলিয়ে ক্যাপ্টেন হিসেবে চাপ বাড়ছিল বিরাটের ওপর।
অধিনায়কত্ব ছাড়ার পরে শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নামবেন কোহলি। ব্যাটিংয়ে মনোযোগ দেওয়া যে একান্ত প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে, সেটা বোঝা যায় তার সাম্প্রতিক রেকর্ড দেখেই। দুই বছর হতে চলল কোহলির ব্যাটে সেঞ্চুরি নেই। পুরনো ধারাবাহিকতাও চোখে পড়ছে না। সুতরাং নেতৃত্বের বোঝা কমিয়ে চাপমুক্ত হতে চাইলেন কোহলি।
ক্যারিয়ারে অনেকটা সময় পড়ে থাকলেও একপর্যায়ে এসে ওয়ার্কলোডের দিকে তাকাতে হয় সব ক্রিকেটারকেই। তিন ফরম্যাটে নিজের কেরিয়ারকে দীর্ঘায়িত করতে হলে চাপ কমাতেই হতো কোহলিকে। আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপের পর যে শুধু কোচ হিসেবে শাস্ত্রীর মেয়াদ শেষ হচ্ছে। শোনা যাচ্ছে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের পর রবি শাস্ত্রী আর ভারতিয় দলের কোচ থাকছেন না। শুধু তাই নয় ভারতীয় দল বিশ্বকাপে ব্যর্থ হলে কোহলির কাছ থেকে সীমিত ওভারের ক্যাপ্টেন্সি কেড়ে নেওয়ার সম্ভাবনাও উঁকি দিচ্ছিল। তাই কোনোরকম ঝুঁকি না নিয়েই স্বেচ্ছায় সরে গেলেন বিরাট। ধোনির কাছ থেকেই নিশ্চিত শিখেছেন যে, কীভাবে সময়মতো জায়গা ছেড়ে দিতে হয়। তাই সবকিছু মিলিয়ে অধিনায়কত্ নিয়ে বিরাট কোহলির সিনধান্তেকে বিচকষন সিন্ধনত বল আযতেতি পারে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন