টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এলেই ভারতের তারকা খেলোয়াড় যুবরাজ সিংয়ের নামটা সামনে চলে আসে সকল ক্রিকেট প্রেমিদের মনে। সবার হয়তো মনে আছে ২০০৭ সালের বিশ্ব আসরে ছয় ছক্কা হাঁকিয়ে রেকর্ড বুকে জায়গা করে নেন ভারতের এই তারকা ব্যাটসম্যান। তবে তখন তার খেলা দিয়ে আলোচনায় আসলেও এবার সমালোচনায় এসেছে এক বৈষম্যমূলক মন্তব্য করার কারণে। বৈষম্যমূলক এই মন্তব্য করার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, গত বছর ইনস্টাগ্রামে একটি নাচের ভিডিও পোস্ট করেছিলেন যুজবেন্দ্র চাহাল। যুবরাজের বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই ভিডিও নিয়ে গত বছর ভারতীয় ওপেনার রোহিত শর্মার সঙ্গে একটি ইনস্টাগ্রাম লাইভ সেশনে হাজির হয়েছিলেন প্রাক্তন ভারতীয় অলরাউন্ডার। লাইভ আড্ডায় তিনি বৈষম্যমূলক মন্তব্য করেছিলেন। ফলে তাকে গ্রেপ্তারের দাবি ওঠে।
এক বছর আগে করা মন্তব্যের জেরে রোববার (১৭ অক্টোবর) তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে কয়েকদিন আগেই এ সংক্রান্ত মামলায় হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নিয়েছিলেন যুবরাজ সিং। এদিন তাই তদন্তে সাহায্য করতেই পুলিশের কাছে এসেছিলেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার। সঙ্গে ছিলেন তার নিরাপত্তারক্ষী এবং উকিল। এরপরই আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপরই কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয় যুবরাজকে। তারপর আগাম জামিনের কাগজের ভিত্তিতে তাকে ছেড়েও দেওয়া হয়।
যুবরাজ বলেছিলেন, আমি কখনও কোনো জাতি, বর্ণ, ধর্ম অথবা লিঙ্গের বৈষম্যে বিশ্বাস করিনি। সারা জীবন মানুষের জন্য কাজ করেছি। আমি মানুষকে মর্যাদা দেওয়ায় বিশ্বাস করি। মানুষ একে অপরকে নিঃস্বার্থভাবে সম্মান করুক, এটাই চেয়ে এসেছি। বন্ধুদের কথা বলার সময় আমার একটি কথার অন্য অর্থ করা হয়েছে, যেটা অনভিপ্রেত। ভারতের একজন দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে আমি যদি কারও ভাবাবেগে আঘাত করে থাকি, তার জন্য ক্ষমা চাইছি। আমি ভারতকে ভালবাসি আর ভারতবাসী সব সময় আমার অন্তরে থাকে।
এ ঘটনায় উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসি শহরে যুবরাজের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই যুবরাজকে গ্রেপ্তার করা হয়।
দেশটির পুলিশ জানিয়েছে, হাইকোর্টের নির্দেশ মতো তদন্তকারী কর্মকর্তা ডেপুটি পুলিশ সুপারের বিনোদ শঙ্করের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন যুবরাজ। পুলিশের তদন্তেও সাহায্য করেন। তাকে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। গ্রেপ্তারের পর অন্তর্র্বতীকালীন জামিনে ছাড়া পান যুবরাজ।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন