স্কুলছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণের দায়ে যুবকের ৪৪ বছরের কারাদণ্ড

স্কুলছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণের দায়ে যুবকের ৪৪ বছরের কারাদণ্ড

শেরপুরে স্কুলছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণের মামলায় শফিকুল ইসলাম (৩৭) নামে এক যুবকের ৪৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। বুধবার শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান আসামির অনুপস্থিতিতে ওই রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে ধর্ষণের দায়ে শফিকুল ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং অপহরণের দায়ে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তবে উভয় সাজা একইসঙ্গে কার্যকর হবে। শফিকুল ইসলাম ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার গোয়ালবর এলাকার আব্দুল জলিলের ছেলে।

একইসঙ্গে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় জয়নাল আবেদীন নামে অপর এক আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি অ্যাড. গোলাম কিবরিয়া বুলু জানান, শফিকুল ইসলাম তার মামাতো বোন ঝিনাইগাতী উপজেলার ভারুয়া গ্রামের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে (১২) নানাভাবে উত্যক্ত করে আসছিল। একপর্যায়ে ২০১৫ সালের ১০ আগস্ট সকাল ১০টার দিকে ওই শিক্ষার্থীকে স্কুলে যাওয়ার পথে অপহরণ করে। এরপর বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে।

পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজাখুঁজি পর না পেয়ে ১৮ আগস্ট শফিকুলসহ ৩ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করে। পরবর্তীতে ঝিনাইগাতী থানার এসআই ইউনুস আলী বিশ্বাস ২০১৬ সালের ১৬ জানুয়ারি প্রধান আসামি শফিকুল ও তার সহযোগী জয়নাল আবেদীনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। কিন্তু মামলার শুরু থেকেই উভয় আসামি পলাতক থাকেন। বিচারিক পর্যায়ে সংবাদদাতা বাদী, ভিকটিম, জবানবন্দি গ্রহণকারী ম্যাজিস্ট্রেট, চিকিৎসক ও তদন্ত কর্মকর্তাসহ ৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password