চীনের তরুণ-তরুণীরা এখন ‘অস্থায়ী সঙ্গী (টেম্পোরারি পার্টনার)’ খোঁজার দিকে আগ্রহী হয়ে উঠছেন প্রেম-বিয়ের মত স্থায়ী সম্পর্কের জটিলতা এড়াতে । সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অস্থায়ী সঙ্গী খোঁজার এই বিষয়কে মান্দারিন ভাষায় বলা হচ্ছে ‘দা জি’। এর অর্থ ‘সবকিছু মিলে যাওয়া’।

চীনের তরুণ-তরুণীরা এখন এমন সঙ্গীকে পেতে চাইছেন, যাঁর সঙ্গে চিন্তাভাবনা মিলে যাবে। সঙ্গীকে পুরোপুরি জানার চেষ্টা না করেই তার সঙ্গে কেবল স্বল্প সময় কাটাতে চান তারা। চীনের তরুণ-তরুণীরা অস্থায়ী সঙ্গী খুঁজতে প্ল্যাটফর্ম হিসেবে দেশটির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম জিয়াওহংশুকে বেছে নিয়েছেন। তারা মূলত খাবার, গেমিং, ফিটনেস, ভ্রমণ, কৃষিকাজ, চ্যাটিং ও গান শুনতে আগ্রহী ব্যক্তিদের খোঁজ করেন।

এসব সঙ্গীর মুখোমুখি হওয়া আবশ্যক নয়। তারা উইচ্যাট ও এ ধরনের অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে প্রতিদিনের কথোপকথন সেরে নিতে পারেন। অস্থায়ী সঙ্গী হওয়া এক তরুণ বলেছেন, ‘একজন অপরিচিত ব্যক্তির তত্ত্বাবধান করা নিশ্চিত করে, আমরা দুজনেই বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছি। যদি কোনো বন্ধু বা পরিবারের সদস্যকে এটি করতে বলি, তবে আমি এটিকে ততটা গুরুত্বের সঙ্গে নাও নিতে পারি, এমনকি তাদের সঙ্গে তর্কও করতে পারি না।’

চীনের তরুণ-তরুণীরা একাকিত্বে ভোগায় দেশটিতে অস্থায়ী সঙ্গী খোঁজার প্রবণতা জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এতে ওই তরুণ-তরুণীরা নিজেদের স্থান ও স্বাধীনতা বজায় রাখতে চান। অস্থায়ী সঙ্গী খোঁজা আরেক তরুণ বলেছেন, ‘আমি সত্যিই খুব একা; সামাজিক মিথস্ক্রিয়াও পছন্দ করি না। তবে আশা করি, এমন একজন অপরিচিত ব্যক্তি আসবে, যে আমার জীবনে প্রবেশ করবে না। কিন্তু আমাকে একা সিনেমা দেখা বা একা একা আর খেতে দেবে না।’

অস্থায়ী সঙ্গী খুঁজতে গিয়ে দেশটির অনেক তরুণ-তরুণী হতাশার সম্মুখীনও হয়েছেন। ২০ বছর বয়সী এক তরুণী বলেছেন, তিনি একজন পুরুষ সঙ্গীর সঙ্গে খাবারের আয়োজন করেছিলেন। এ সময় তাকে শুধু একজন ভালো শ্রোতার ভূমিকা পালন করতে হয়েছিল। আরেকটি ঘটনার কথা মনে করে তিনি বলেছেন, ওই ব্যক্তি বলেছিলেন, তিনি একজন অস্থায়ী নারী সঙ্গীর প্রতি প্রেমের অনুভূতি তৈরি করেছিলেন, তবে ওই নারী এরইমধ্যে অন্য একটি সম্পর্কে ছিলেন।