ছয় বছরের শিশুকে খাঁচায় বন্দি করে রাখতো পাষণ্ড বাবা

ছয় বছরের শিশুকে খাঁচায় বন্দি করে রাখতো পাষণ্ড বাবা

বাবা যখন পাষণ্ড হয়ে যায় তখন এমনই অনেক ঘটনা আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে। এক পাষণ্ড বাবা তার ছোট্ট ফুটফুটে এক ছয় বছরের শিশুকে কতটা অমানবিক নির্যাতন করেছেন। সিরিয়ায় ছয় বছরের এক শিশু না খেতে পেয়ে মারা গেছে। ওই শিশুর বাবা তার মেয়েকে শিকলে বেঁধে খাঁচায় বন্দি করে রাখার পর অনাহারে তার মৃত্যু হয়। শিশুটির নাম নাহলা আল-ওসমান। স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে মিডল ইস্ট মনিটর।

মিডল ইস্ট মনিটরের খবরে বলা হয়, সিরিয়ার ইদলিবের ফারাজ আল্লাহ ক্যাম্পে হেপাটাইটিস, অনাহার এবং তৃষ্ণায় নাহলার মৃত্যু হয়। তার বাবা তাকে শিকলে বেঁধে খাঁচা বন্দি করে রাখে। এর আগে তাকে পিটিয়েও ছিল তার পাষণ্ড বাবা। তারপর তাকে খাবার না দিয়ে খাঁচা বন্দি করে রাখা হয়। 

নাহলার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়েছে। ওই শিশুটির মৃত্যুতে মেয়ের বাবার বিরুদ্ধে নিন্দা জানিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখচ্ছেন নেটিজেনরা। এই ছবিটি প্রথম প্রকাশ করেন সিরিয়ার সাংবাদিক ইব্রাহিম টিরেসি। তিনি বলেন, নাহলা তার বাবার সঙ্গে থাকতো। তারা বাবা আরেকটি বিয়ে করেছে। নাহলার বাবা তার মাকে তালাকও দিয়েছিল। শিশুটি সুস্থ ও স্মার্ট থাকার পরও তার বাবা শিকলে বেঁধে খাঁচা বন্দি করে রাখে।

ইব্রাহিম বলেন, অপর্যাপ্ত খাদ্য ও পানি খেয়েও কয়েক মাস বেঁচে ছিল নাহলা। শিকলে বাঁধা অবস্থাতেই ক্যাম্পে ঘুরে বেড়াতো নাহলা। ওই খাঁচা তার স্থায়ী ঘর হয়ে যায়। অপুষ্টি, তৃষ্ণা, হেপাটাইটিস এবং অন্যান্য রোগে যন্ত্রণা ভোগ করে বৃহস্পতিবার নাহলা মারা যায়। 

সিরিয়ায় শিশুদের এমন কঠিন পরিস্থিতি নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে ইউনিসেফ। তারা বলছে, প্রায় ৪ দশমিক ৮ মিলিয়ন সিরিয়ান শিশুর মানবিক সহায়তার প্রয়োজন। এদিকে, সেভ দ্য চিলড্রেন এরই মধ্যে সিরিয়ার শিশুদের নিয়ে একটি সম্ভাব্য মানসিক স্বাস্থ্য সঙ্কটের বিষয়ে সতর্ক করেছে। তারা বলছে, ১৮ বছরের কম বয়সী পাঁচজনের মধ্যে এক শিশু আত্মহত্যাচেষ্টা করেছে।

সূত্র: মিডিল ইস্ট মনিটর।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password