বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যবহৃত পিপিই ও নানা সুরক্ষাসামগ্রী গায়ে দিয়ে নগরীতে ঘুরতে দেখা গেছে এক মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে। এতে করে করোনাভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কা করছেন অনেকে।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসকল বর্জ্য সিটি করপোরেশন নিতে চাচ্ছে না।শুক্রবার দুপুরে হাসপাতালের পেছনে শহীদ আলমগীর সড়কে ওই ব্যক্তিকে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। ব্যবহৃত সুরক্ষাসামগ্রী সঠিক স্থানে না ফেলায় ওই মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি কয়েকটি পিপিই কুড়িয়ে, একটি পরে আরও কয়েকটি হাতে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
স্থানীয়রা জানায়, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটের আশপাশে যত্র-তত্রভাবে পিপিই, গ্লাভসসহ নানা ধরনের চিকিৎসা সামগ্রী ফেলে রাখা হয়। মানসিক ভারসাম্যহীন ওই ব্যক্তি সেখান থেকেই একটি পিপিই নিজে পরে এবং বেশ কয়েকটি হাতে নিয়ে হাসপাতালের পেছনের গেট থেকে বের হয়ে আলমগীর সড়ক হয়ে বাংলাবাজার এলাকা ঘুরে বেড়িয়েছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে করোনা ওয়ার্ডের বর্জ্য ফেলার ব্যাপারে সচেতন হতে হবে।
এত বড় একটি হাসপাতালের ক্লিনিক্যাল বর্জ্য নষ্ট করে ফেলার কোনও ব্যবস্থা নেই। অপরদিকে সিটি করপোরেশন হাসপাতালের বর্জ্য নিচ্ছে না অনেকদিন ধরে। করোনা ইউনিটসহ নগরীর বিভিন্ন হাসপাতাল, ক্লিনিক বা ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহৃত স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী তাদের নিজ দায়িত্বে সেগুলো নষ্ট করে ফেলা দরকার। সমাজের এক শ্রেণির লোক এসকল বর্জ্যের মধ্য থেকে প্লাস্টিকের বোতল, বিভিন্ন ধরনের ক্যান, স্যালাইনের বোতল ও সেট, সিরিঞ্জ সংগ্রহ করে ভাঙারির দোকানে নিয়ে বিক্রি করে থাকেন। এতে করোনাভাইরাসসহ বিভিন্ন ধরনের রোগের জীবাণু ছড়িয়ে বড় ধরনের বিপর্যের আশঙ্কা করছে নগরবাসী।
এক সময় বরিশালের বেশ কয়েকটি এনজিওর সমন্বিত নেটওয়ার্ক নগরীর বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিক থেকে ক্লিনিক্যাল বর্জ্য সংগ্রহ করে চুল্লিতে পুড়ে ফেলত। সেই প্রজেক্টটি অনেকদিন আগেই বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকে এসকল বর্জ্য যত্রতত্র ফেলা হচ্ছে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন