এয়ারবর্ন আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেম (Air Borne Early Warning System) কে বর্তমানে একটি মর্ডানাইজড বিমান বাহিনীর অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। নিকটবর্তী শত্রু সীমানায় নজরদারী,দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং কোন কারনে ল্যান্ডবেসজড রাডার সিস্টেম হুমকীর মুখোমুখি হলে AEW&C যেকোন বিমান বাহিনীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করতে পারে। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর জন্য এমন প্লাটফর্ম অনেকাংশেই প্রয়োজন।দেশের বিমান বাহিনীর এয়ারক্রাফটগুলোকে জরুরী প্রয়োজন এবং যুদ্ধাবস্থায় শত্রু বিমানের লোকেশন পিন-পয়েন্ট করা এবং বিয়ন্ড ভিজিবিল রেজ (BVR)মিসাইল সিস্টেমকে গাইড করার ক্ষেত্রেও এর গুরুত্ব অপরিসীম।
বিভিন্ন স্ট্রাটেজিক লোকেশনের নিরাপত্তা বিধান এমনকি প্রয়োজনে অন্য দেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ইলেকট্রনিক ওয়েরফেয়ার কাউন্টার করবার জন্যও এসব সিস্টেমকে ইক্যুউপড করা সম্ভব। এছাড়া,জরুরী প্রয়োজনে এটি মোবাইল কমান্ড সেন্টার হিসেবেও ব্যবহার করা সম্ভব। বর্তমান প্রেক্ষাপটে গ্রাউন্ড বেসজ রাডারের রেঞ্জ পার্শ্ববর্তী দু'প্রতিবেশী দেশের ভিতর পর্যন্ত হলেও MRCA প্রজেক্টের আওতায় এয়ারক্রাফট সংগ্রহ করা হলে এয়ার রিফুয়েলার এবং এয়ারবোর্ন আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেম সংগ্রহ করা হতে পারে।
উল্লেখ্য,ফোর্সেস গোল-২০৩০ অনুসারে বিমান বাহিনীকে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে মর্ডানাইজেশন করবার জন্য যা প্রয়োজন কেনার কথার উল্লেখ রয়েছে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন