বরিশাল নগরী ও গৌরনদী উপজেলায় পৃথক অগ্নিকাণ্ডে ৩৯টি দোকান এবং ২০ ছোট ঘর পুড়ে গেছে। এতে প্রায় আড়াই কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্তরা দাবি করেছেন। সোমবার (০২ মার্চ) দুপুর আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো. ফারুক হোসেন বলেন, সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে নগরীর বটতলা এলাকার শরীফ বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহায়তায় পৌনে এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এর আগেই ২০টির মতো ঘর পুড়ে যায়।
মো. ফারুক হোসেন বলেন, রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। কাঠ, টিন দিয়ে বানানো ঘরগুলোতে আগুন খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। যার কারণে স্বল্প সময়ের মধ্যে ২০টির মতো ঘর পুড়ে যায়। ঘর ও মালামাল পুড়ে ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকার ক্ষতি হতে পারে।
শরীফ বাড়ির একাধিক বাসিন্দা জানান, ছোট ছোট ঘরগুলো ভাড়া নিয়ে নিম্নআয়ের ৩০টি পরিবার বসবাস করতেন। আগুনে ২০টি ঘর ও তাদের সহায় সম্পদ সবই পুড়ে গেছে। এতে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে গৌরনদী উপজেলা সদরে অগ্নিকাণ্ডে ২৫টি দোকান সম্পূর্ণ ও ১৪টি দোকান আংশিক পুড়ে গেছে। অগ্নিকাণ্ডে প্রায় দুই কোটি টাকার সম্পদের ক্ষতি হয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন।
গৌরনদী ফায়ার স্টেশনের ইনচার্জ আব্দুস ছালাম বলেন, সোমবার সকালে গৌরনদী বাসস্ট্যান্ডসংলগ্ন মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিটি আড়াই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
মার্কেটের ব্যবসায়ী মাসুম সরদার (৩৫) ও সানোয়ার হোসেন (৪২) ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গৌরনদী ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের গাফিলতির কারণে ৩৯টি দোকান ভস্মীভূত হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে গাড়িতে থাকা রিজার্ভ পানি দেয়ার পরে পাম্প বিকল হওয়ায় আর পানি দিতে পারেননি। ফলে আগুন আশেপাশে ছড়িয়ে পড়ে। দুই ঘণ্টার আগুনে মার্কেটের ৩৯টি দোকান ভস্মীভূত হয়।
অভিযোগ প্রসঙ্গে গৌরনদী ফায়ার স্টেশনের ইনচার্জ আব্দুস ছালাম বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে কিছুক্ষণের মধ্যে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছি। কিন্তু সাধারণ মানুষের বিশৃঙ্খলার কারণে কাজে ব্যাঘাত ঘটে। পাম্প কিছু সময়ের জন্য বিকল হয়ে পড়ে। পরে উজিরপুর, বাবুগঞ্জ ও বরিশাল কর্মীদের সহায়তায় আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন