ফুলকলিতে বাসি খাবার ও বেশি দামে বিক্রির অভিযোগ

ফুলকলিতে বাসি খাবার ও বেশি দামে বিক্রির অভিযোগ

কক্সবাজারঃ মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া বাজারে, নতুন ''ফুলকলি'' দোকানে খাবারের মান নিয়ে অভিযোগ তুলেছে স্হানীয় সাধারণ মানুষ। ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে অতিরিক্ত দাম ও বাসি খাবার বিক্রি নিয়ে। কালারমারছড়া বাজারে ফুলকলির খাবারের মান অন্যান্য ফুলকলির খাবারের মানের চেয়ে আলাদা। তাদের খাবারের মান বাইরে ফিটফাট ভিতরে সদর ঘাট! একবার না খেলে বুঝা যাবে না এ ফুলকলির গুনগত মান।

নোনাছড়ির বাসিন্দা ফারুক আজম বলেন, ওখানে কয়েকবার খেতে গিয়ে দেখি, বার্গার খাবারগুলো বাসি টাইপের পাউরুটি দিয়ে বানানো। চিকেনের নাম দিয়ে বেশি ভাগ সবজি। মিষ্টিতে দাম ট্যাগ দেওয়া নাই। ম্যানাজের সাথে কথা বললে সে রেগে গিয়ে বলে কোম্পানি যেরকম দেয় সেরকমতো আছে। প্রথম দিকে কালারছড়ার মানুষকে এ ফুলকলি থেকে মিনারেল ওয়াটার কিনে খেতে হয়েছিলো যা কালারছড়ার জনগনের সাথে যায়না।

কালারমারছড়া এলাকার খোলা পানির খুব ভালো। নামি-দামি রেস্টুরেন্ট নামে মহেশখালী কালারমারছড়া বাজারে পচাঁ-বাসি খাবার খাইয়ে যাচ্ছে স্হানীয়, ক্ষুধার্থ পথিক ও বাজার ব্যবসায়ীদের। বার্গার ও দইয়ে নির্ধারণ নাই দাম। মিষ্টিগুলো বেশ শক্ত। পাঁচ দিনের পুরনো অবিক্রিত গ্রিল চিকেন গরম না দিয়ে বা বাসি করে খাইয়ে দেওয়া হচ্ছে। সন্দেশ মিষ্টি, দই ও বার্গার সবকিছু খাবার অতিরিক্ত দামে বিক্রি করে যা সচারাচর অন্য ফুলকলির চাইতে বেশি।

ভুক্তভোগী নয়া পাড়ার বাসিন্দা জুয়েল বলেন, প্রথমত মিষ্টিগুলো বেশিরভাগ শক্ত থাকে। অন্যান্য নাস্তা জাতীয় খাবারগুলো অন্যান্য ফুলকলির সাথে কোন রকমের মিল বা স্বাদ নাই। ওনাদের বললে বলে মাঝে মাঝে এরকম হয় থাকে! আামার বাসি মিষ্টি খাওয়ার অভিজ্ঞতা হয়েছে।কালারমারছড়ার মানুষ কোন অভিযোগ দেয়না বলে তারা যেমন তেমন মালামাল বিক্রি করেই যাচ্ছে। কালারমারছড়া ফুলকলির ম্যানেজার রাসেল বলেন, আমরা কোনো বাসি খবর রাখিনা।

খাবার অর্ডার করি প্রয়োজনের চেয়ে কম। দৈনিক যা প্রয়োজন হয় কোম্পানি থেকে তা আমরা নিয়ে থাকি। আমরা কোনো খাবার ফ্রিজে জমা রাখিনা এবং বাসি খবর বিক্রি করিনা। এটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন দুঃখজনক।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password