চাঁদা না দেওয়ায় প্রধান শিক্ষকের অফিস কক্ষে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে দাতা এবং অভিভাবক সদস্যের বিরুদ্ধে। তারা প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুর ছবিও ভাঙচুর করেছেন। সিলেটের জকিগঞ্জে ইলাবাজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনায় প্রধান শিক্ষক সুফিয়া বেগম থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ থেকে জানা গেছে, গত ৩১ জুলাই হাজারী চক গ্রামের মো. সফিকুর রহমান ও দরিয়াবাজ গ্রামের আবুল কালাম আজাদ বিদ্যালয়ে এসে প্রধান শিক্ষকের কাছে সরকারের বরাদ্দ দেওয়া স্লিপ ও মেইনটেন্যান্সের টাকার ২৫ শতাংশ চাঁদা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে ভাঙচুর চালান।
এ সময় তারা প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুর করেন। এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের মারধর করে বিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারসহ কিছু কাগজপত্র নিয়ে চলে যান। এর আগেও তারা বিদ্যালয়ে এসে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দিলে তাদের বিদ্যালয়ের সীমানায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয় প্রশাসন।
তবে সফিকুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, প্রধান শিক্ষকসহ আরও দুই সহকারী শিক্ষক নিয়মিত স্কুলে আসেন না। তারা নানা অনিয়ম-দুর্নীতি করছেন। তারা অভিভাবকদের আমার বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে স্বাক্ষর নেন। বিষয়টি একজন অভিভাবক ফোন দিয়ে আমাকে জানালে বিদ্যালয়ে যাই।
বিদ্যালয়ের দাতা ও অভিভাবক সদস্য হিসেবে আমি সেখানে যেতেই পারি। তবে চাঁদাবাজি বা ভাঙচুর করিনি। জকিগঞ্জ থানার ওসি মোশাররফ হোসেন জানান, বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন