নিয়ম নিতি মেনে ভারত গমন মেডিকেল যাত্রীদের ফেরত পাঠাচ্ছে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ। এমন কি তাদের কাউকে কাউকে মারধরও করছে তারা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সুরক্ষা বিভাগের আদেশ নিয়েও এমন হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে এনিট্র রিফুইজড করে দেওয়া পাসপোর্ট যাত্রী ঢাকার এমদাদুল হক।
গত কয়েকদনি যাবত বাংলাদেশ থেকে ভারতে চিকিৎসা নিতে যাওয়া যাত্রীদের এমন আচারন করছে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ। পাসপোর্ট যাত্রী এমদাদুল হক বলেন, আমি আমার মায়ের চিকিৎসার জন্য বেনাপোল ইমিগ্রেশন এর আনুষ্ঠানিকতা শেষে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশনে পাসপোর্ট দিলে নানা ধরনের প্রশ্ন জর্জরিত করে তোলে। এক পর্যায় আমাকে এন্ট্রি রিফুইজড সিল মেরে দেশে চলে যেতে বলে।
ঢাকার নারাগঞ্জ থেকে আসা পাসপোর্ট যাত্রী আরমান হোসেন বলেন, তার চোখের চিকিৎসার জন্য ভারতের চেন্নাই যাওয়ার উদ্দেশ্য গিয়েছিল। কিন্তু পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন এর পুলিশ তাকে ফিরিয়ে দেয়। আমাকে কেন যেতে দেওয়া হবে না জানতে চাইলে তারা আমাকে মারধর করে গলাধাক্কা দিয়ে বলে তোর কাছে কৈফিয়ত দিতে হবে নাকি?
এদিকে স্থানীয় একটি সুত্র বলেছে যারা ভারত হয়ে অন্যান্য রাষ্ট্রে চাকরির জন্য যায় তাদের এরকম করে থাকতে পারে। বর্তমানে ভারত যেতে গেলে করোনা সার্টিফিকেট, স্বারাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সনদ, ভারতীয় ডাক্তারের এপার্টমেন্ট নিয়ে যেতে হয়। এসব বিচার বিশ্লেষন করে ভারতীয় ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদের মর্জি মত ছাড় দেয়। আর যাকে সন্দেহ হয় তাকে দেশে ফেরত পাঠায়।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি আহসান হাবিব বলেন, আমরা সকল কাগজপত্র যাচাই বাছাই করে পাঠাই। তারপর তারা কেন ফেরত দিচ্ছে সেটা তাদের রাষ্ট্রিয় ব্যাপার। তবে বিদেশ পার্টি বলে যারা এসব কাগজ পত্র তৈরী করে যাতায়াত করে তাদের সন্দেহ হলে আমরাও ফেরত পাঠাই। তবে গত কয়েকদিনে যারা প্রকৃত চিকিৎসা নিতে ভারত গমন করছিল তাদের কিছু যাত্রী ফেরত এসেছে ভারতীয় ইমিগ্রেশন থেকে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন