জরুরি ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে পাঁচ লাখ ৫০ হাজার টন চাল আমদানি করা হবে। অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে বুধবার এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।
সেইসঙ্গে চাল কেনার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র দাখিলের সময়সীমা পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রকাশের তারিখ থেকে ৪২ দিনের পরিবর্তে ১০ দিন করতে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠকে পল্লী বিদ্যুতের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে চার বিভাগের জন্য আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবল কেনাসহ ২টি ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৯৯ কোটি টাকা। এরপর অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়। সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হয় দুটি বৈঠক।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আজ (বুধবার) অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে ৩টি এবং ক্রয় সংক্রান্ত কমিটিতে ২টি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে। চাল আমদানিতে সময় কমানোর পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, এ বছর চালসহ খাদ্যশস্য উৎপাদন কম হয়েছে। গত বছর বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারিনি। বর্তমান প্রেক্ষাপটে আগাম বন্যা ও কোনো ঝড়ঝঞ্ঝা হলে খাদ্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে। সেক্ষেত্রে আমদানির প্রয়োজন হবে না।
এরপর মন্ত্রিপরিষদের অতিরিক্ত সচিব ড. শাহিদা আক্তার বলেন, রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে সাড়ে পাঁচ লাখ টন চাল আমদানি করা হবে। সে লক্ষ্যে দরপত্র দাখিলের সময়সীমা কমানোর প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, মুন্সীগঞ্জে বিসিক কেমিকেল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক নির্মাণের জন্য ভূমি উন্নয়ন ও পুকুর খনন করে মাটি ভরাটের কাজ সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপকে দেওয়া হয়েছে। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ১২৩ কোটি ৬৩ লাখ সাত হাজার ৩১৯ টাকা। ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের শতভাগ বিদ্যুতায়ন প্রকল্পের আওতায় ১৩০ কিলোমিটার ১১ কেভি ও ৩৩ কেভি আন্ডারগ্রাউন্ড তার কেনার একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ৭৫ কোটি ৬৩ লাখ ৬৯ হাজার ৫৮০ টাকায় তারগুলো কেনা হবে পলি ক্যাবল ইন্ডাস্ট্রিজের কাছ থেকে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন