আমলকি (Gooseberry,Amla) হলো এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ একটি ভেষজ ফল৷ যাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি৷ ভিটামিন সি আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় অবশ্যই রাখা উচিত কারণ এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, কোলাজেন টিস্যুর নমনীয়তা রোধ করে, দ্রুত ঘাঁ শুকাতে সাহায্য করে, স্কার্ভিরোগ প্রতিরোধ করে৷ তাছাড়া ভিটামিন সি সেরোটোনিন হরমোন তৈরি করে যা আমাদের মন-মেজাজ,আবেগ অনুভূতি ,ব্যথা ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণে কাজ করে৷
কোনো প্রাণিজ উৎসে ভিটামিন সি পাওয়া যায় না৷ আমলকিতে ১০০ গ্রামে ৪৬৩ মিঃগ্রাঃ ভিটামিন সি রয়েছে যা অন্যসব ফলের তুলনায় সবচেয়ে বেশি৷ তাই একে ভিটামিন সি এর রাজা বলা হয়৷ এ ফলের গুণাগুণ অমৃতের মতো,তাই একে অমৃতফল বলা হয়৷ আমলকি খেতে একটু টক ও কষজাতীয় লাগলেও খাওয়ার পর মিষ্টি ভাব লাগে৷ প্রতিদিন ১টি আমলকি খাওয়ার অভ্যাস করা উচিত৷
এতে ভিটামিন সি ছাড়াও ক্যালসিয়াম,আয়রন,থায়ামিন ইত্যাদি রয়েছে৷ আমলকি খাওয়া যেমন উপকার তেমনি এর পাতা ও ছাল দিয়ে বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক ঔষুধ ও তৈরি করা হয়৷ আমলকির রস রক্তে চিনির মাত্রা কমায়৷ এছাড়া আমলকি রূপচর্চার ক্ষেত্রেও খুব কার্যকরী৷ নিচে আমলকির বিশেষ কিছু গুণাগুণ দেয়া হলো-
১.আমলকি চুলের টনিক হিসেবে কাজ করে, চুলের গোড়া মজবুত করে পাশাপাশি চুল লম্বা করতে ও কাজ করে৷
২.আমলকির রস কোষ্ঠকাঠিন্য ঐ পাইলসের সমস্যা দূর করে৷
৩.আমলকি চোখ ভালো রাখে৷ এতে রয়েছে ফাইটো-কেমিক্যাল যা চোখের সঙ্গে জড়িত ডিজেনারেশন প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে৷
৪.আমলকি দাঁত শক্ত ও মজবুত রাখে৷
৫.আমলকি মুখের রুচি বাড়ায় পাশাপাশি মুখের দুর্গন্ধ দূর করে৷
৬.সর্দি-কাশি,ঠান্ডা,এজমা,ব্রঙ্কাইটিস ইত্যাদি উপসমে আমলকি খুবই উপকারি৷
৭.শরীরের বাড়তি ফ্যাট সরাতে সাহায্য করে আমলকি৷
৮.কোলেস্টেরলের পরিমাণ ও কমাতে আমলকি সাহায্য করে৷ যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়৷
৯.চুলের খুশকি কমায় ও পাকা চুল কালো করে৷
১০.রক্ত পরিষ্কার করতে আমলকি বেশ কার্যকর৷ এর এন্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান শরীর থেকে টক্সিন উপাদান দূর করে৷
১১.হাড় মজবুতেও আমলকি সাহায্য করে৷
১২.প্রতিবার খাওয়ার আগে মাখন ও মধুর সঙ্গে আমলকির গুঁড়া মিশিয়ে খেলে ক্ষুধামন্দা দূর হয়৷
১৩.আমলকির গুঁড়োর সাথে মধু মিশিয়ে দিনে ৩-৪ খেলে গলা ব্যথা ও ঠান্ডা দূর হয়৷
১৪.টাটকা আমলকি পিপাসা মেটায়,ঘন ঘন প্রসাব হওয়া বন্ধ করে,পেট পরিষ্কার রাখে৷
১৫.আমলকি থেকে তৈরি তেল মাথা ঠান্ডা রাখে৷
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন