গাজায় হামলা বন্ধ না হলে রুখে দাঁড়াবে ইরান ও মিত্ররা

গাজায় হামলা বন্ধ না হলে রুখে দাঁড়াবে ইরান ও মিত্ররা

গাজা উপত্যকায় আগ্রাসন বন্ধ না হলে; মার্কিন-ইহুদি আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে পুরো মধ্যপ্রাচ্য। রোববার, এ হুমকি দিলেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। অবিলম্বে অস্ত্রবিরতি কার্যকরের আহবান জানান তিনি।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরআব্দুল্লাহিয়ান এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “আমি যুক্তরাষ্ট্র এবং তার সহযোগীকে (ইসরায়েল) সতর্ক করে দিচ্ছি যে, তারা গাজায় অবিলম্বে মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যা বন্ধ না করলে যে কোনো মুহূর্তে যেকোনো কিছু সম্ভব।

গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে প্রায় দুই সপ্তাহ গড়িয়েছে; কিন্তু ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ যেন থামছেই না। বরং দিন দিন এই যুদ্ধ যেন মধ্যপ্রাচ্যে আরও বিস্তার লাভ করছে; যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন ফ্যাক্টর। খবর বিবিসির। চলমান পরিস্থিতিতে ইরানের পক্ষ থেকে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রকে ফের সতর্ক করা হয়েছে। তেহরানের পক্ষ থেকে বলা হয়, ইসরায়েল অবিলম্বে সামরিক হামলা বন্ধ না করলে মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি 'নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।

গতকাল (রবিবার) তেহরানে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরআব্দুল্লাহিয়ান এক সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, "আমি যুক্তরাষ্ট্র এবং তার সহযোগীকে (ইসরায়েল) সতর্ক করে দিচ্ছি যে, তারা গাজায় অবিলম্বে মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যা বন্ধ না করলে যে কোনো মুহূর্তে যেকোনো কিছু সম্ভব।

আর এতে করে এই অঞ্চলের পরিস্থিতি 'নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে'।" সম্প্রতি ইসরায়েলের সাথে দক্ষিণ লেবানন সীমান্তে ইরানের মদদপুষ্ট মিলিশিয়া বাহিনী হিজবুল্লাহর সাথেও সংঘাতময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। এমনকি আজ (সোমবার) ঐ সীমান্তবর্তী অঞ্চলে বসবাসকারী বহু ইসরায়েলি বাসিন্দাকে বাড়িঘর খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এমতাবস্থায় বেশ কয়েকদিন ধরেই ইরানের পক্ষ থেকে চলমান পরিস্থিতিতে লেবানন সীমান্তে ইসরায়েলের যুদ্ধের দ্বিতীয় ফ্রন্ট খুলতে পারে বলে সতর্ক করা হচ্ছিল। এবার সেই আশঙ্কা যেন অনেকটা বাস্তবে পরিণত হতে যাচ্ছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র আবার অঞ্চলটিতে একটি বিমানবাহী রণতরী পাঠিয়েছে। আর লোহিত সাগরে একটি মার্কিন সামরিক যান ইয়েমেন থেকে ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠী হুথিদের নিক্ষেপকৃত ক্ষেপণাস্ত্রকে আটকে দিতে সক্ষম হয়েছে।

এছাড়াও ইরাকে থাকা মার্কিন বাহিনীর একটি ঘাঁটিও ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীর রকেট ও ড্রোন হামলার শিকার হয়েছে। গত ৭ অক্টোবরের হামাসের হামলার পেছনে ইরানকে দায়ী করেছে ইসরায়েল। এই হামলায় প্রায় ১৪০০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছে। অন্যদিকে এই ঘটনার পর গাজায় ক্রমাগত বিমান হামলা করছে তেল আবিব।

এতে করে এখন পর্যন্ত চার হাজারেরও বেশি গাজাবাসী নিহত হয়েছে। ইরান মনে করে, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের মাধ্যমে ফিলিস্তিনে যুদ্ধ শুরু করেছে। গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের ওপর বোমাবর্ষণ অব্যাহত রাখলে এর ফল খারাপ হবে বলেও দেশটির পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। আমিরআব্দুল্লাহিয়ান বলেন, "গাজায় আমরা যা দেখছি, সেটি ভুয়া ইসরায়েলি শাসকদের শুরু করা প্রক্সি যুদ্ধ, যারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করছে।"

এ যুদ্ধ নিপীড়িত ফিলিস্তিনি জাতি ও বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। আমিরআব্দুল্লাহিয়ান আরও বলেন, "যুদ্ধের মধ্যে বাইডেনের ইসরায়েল সফর এবং হাসপাতাল, মসজিদ, গির্জা ও বেসামরিক নাগরিকদের ওপর বোমাবর্ষণে ইসরায়েলকে সহায়তা দেওয়ার ব্যাপারটা অত্যন্ত 'তিক্ত ও দুর্ভাগ্যজনক'।"

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password