শরীয়তপুরে অধ্যক্ষের সহযোগিতায় মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা

শরীয়তপুরে অধ্যক্ষের সহযোগিতায় মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা

শরীয়তপুরের জাজিরায় মাদরাসার অধ্যক্ষের সহযোগিতায় দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালিয়েছে অফিস সহকারী কাম হিসাবরক্ষক। এ ঘটনায় চারজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।বুধবার সকালে ওই উপজেলার দড়িকান্দি দারুলউলুম মহিলা মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে।আসামিরা হলেন- ওই মাদরাসার অধ্যক্ষ মুফতি জিয়াউর রহমান, তার দুই ভাই নাসির দড়ি ও আরিফ দড়ি, অফিস সহকারী আবদুল হান্নান।

জানা গেছে, মাদরাসার এক শিক্ষক চার ছাত্রীকে খাবার নিতে অফিস সহকারীর কক্ষে পাঠানা। খাবার দেয়ার পর বাকি ছাত্রীদের বের করে দিয়ে ভুক্তভোগীকে আটকে রাখে অফিস সহকারী আব্দুল হান্নান। পরে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে স্পর্শ করে। ওই সময় ভুক্তভোগী ছাত্রী চিৎকার করলে তাকে ছেড়ে দেয় আব্দুল হান্নান। ওই ঘটনা কাউকে জানালে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়।

বুধবার (৭ এপ্রিল) সকাল সোয়া ৯টার দিকে উপজেলার দড়িকান্দি দারুলউলুম মহিলা মাদরাসার একটি কক্ষে এই ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনা ঘটে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। ছাত্রীর বাবা রাতে চারজনকে আসামি করে জাজিরা থানায় মামলা করেন। পরে ওই ছাত্রী বাড়ি গিয়ে তার মাকে বিষয়টি খুলে বলে। এরপর অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা বলেন, মাদরাসার অফিস সহকারী আব্দুল হান্নান আমার মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে। তাকে সহযোগিতা করেছেন মাদরাসার অধ্যক্ষ মুফতি জিয়াউর রহমান ও তার দুই ভাই। ঘটনা জানাজানি হওয়ায় অধ্যক্ষের সহযোগিতায় বাকিরা পালিয়ে গেছে। আমি চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছি।

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. এমারত হোসেন মিয়া বলেন, আমার কাছে কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেননি। অভিযোগ পেলে আমি বিষয়টি তদন্ত করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।জাজিরা থানার ওসি আজহারুল ইসলাম সরকার বলেন, ভুক্তভোগী মাদরাসাছাত্রীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বৃহস্পতিবার দুপুরে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। চার আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password