বুধবার ২৬মে দুপুরে নওগাঁ নিয়ামতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়া মারিয়া পেরেরা সহযোগিতায় আজাদের মোড়, রাজবাড়ী (নাচোল সংলগ্ন) এবং জোনাকির মোড়, বাহাদুরপুর (চৌবাড়িয়া সংলগ্ন) এর সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হয়। সঙ্গে ছিলেন অফিসার ইনচার্জ জনাব মোঃ হুমায়ুন কবীর এবং পাঁড়ইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সৈয়দ মুজিব।
চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের সহযোগিতা করার জন্য এবং নিজ নিজ এলাকায় বহিরাগত জেলা বিশেষ করে অধিক সংক্রমিত এলাকা হতে লোকজন যেন না আসতে পারে সে বিষয়ে সর্বোচ্চ সচেষ্ট থাকতে এলাকাবাসীকে অনুরোধ করা হয়। স্হানীয় জনসাধারণের তৎপরতা এ মুহুর্তে একান্ত কাম্য। নিজ নিজ এলাকায় নিজেদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
ধানের আড়ৎদারদের নিজ নিজ আড়ৎ এর সামনে সাবান ও পানির ব্যবস্হা রাখার জন্য এবং মাস্ক পরিধান করার জন্য অনুরোধ করেন। অন্যান্য দোকানদারদের জন্যও এ নির্দেশনা প্রযোজ্য।
আগত ব্যক্তিবর্গ হাতমুখ ধূয়ে প্রবেশ করলে অনেকটাই নিরাপদ। তবুও এইটুকু চেষ্টা আমরা কেন করতে চাইনা?
মাননীয় খাদ্য মন্ত্রী জনাব সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি মহোদয় সার্বক্ষণিক এলাকার খোঁজখবর নিচ্ছেন এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন।
সম্মানিত জনপ্রতিনিধিবৃন্দ, উপজেলা প্রশাসন,স্বাস্থ্য বিভাগ,পুলিশ বিভাগ, গণমাধ্যম কর্মী সকলে সম্মিলিতভাবে চেষ্টা করছে।
কিন্তু যাদের জন্য এ নিরন্তর ছুটে চলা তারা কি আদৌ নিজেদের দায়িত্ব বুঝতে পারছে?
লকডাউনের নিষেধাজ্ঞা ভেঙ্গেই বিকল্প পথে প্রবেশের চেষ্টা করছে।
দফায় দফায় মাস্ক বিতরণের পরেও অধিকাংশের মুখে মাস্ক নাই! যাও আছে তাও নাক খুলে হাওয়া খাচ্ছে!
সবাই সব কিছু জানে, কিন্তু মানেনা!
এভাবে কি প্রাণঘাতী ভাইরাসের সাথে লড়াই করে সফল হওয়া সম্ভব?
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, দয়া করে আমাদের সহযোগিতা করুন। আমাদের প্রচেষ্টা সফল হওয়া মানে আপনাদের জীবনগুলো নিরাপদ হওয়া। কিছুদিনের সামান্য ত্যাগ আর ধৈর্য যদি সামনের দিনগুলোকে নিরাপদ করে তোলে তাহলে কেন তা মানতে চাইছেন না!
মহান আল্লাহ সকল অবুঝকে এ বাস্তবতা বুঝবার তৌফিক দান করুন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন