সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলন কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় আবদুল জলিল (৩৫) নামের এক আওয়ামী লীগ কর্মী খুন হয়েছেন। বুধবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বেতিল সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
আবদুল জলিল আজগরা বেড়িবাঁধ এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে।
এ সময় পাশেই বেতিল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন চলছিল।
সম্মেলনের প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আবদুল মমিন মণ্ডল। সম্মানিত অতিথি ছিলেন সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ বিশ্বাস। এছাড়া জেলা ও থানা আওয়ামী লীগের নেতারা বক্তব্য রাখেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বুধবার সকাল থেকে চৌহালী উপজেলাধীন এনায়েতপুর থানার সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন শুরু হয়। সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে ভোটগণনা চলছিল। এ সময় বাহিরে অপেক্ষমাণদের মধ্যে বিজয়ের খবর ছড়িয়ে পড়লে প্রতিপক্ষ সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
পরে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে সম্মেলন স্থলের অদূরে বেতিল সড়কে দৌলতপুর আঞ্চলিক ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কর্মী আবদুল জলিল বাড়ি যাওয়ার পথে তাকে কুপিয়ে আহত করা হয়। এ সময় তাকে স্থানীয়রা ভ্যানযোগে খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে খামারগ্রাম ডিগ্রি কলেজ এলাকায় মারা যায়।
এ বিষয়ে এনায়েতপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সম্মেলন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব আজগর আলী বিএসসি জানান, দীর্ঘ দিন ধরে সাবেক মন্ত্রীর সঙ্গে স্থানীয় এমপি সমর্থকদের বিরোধ চলে আসছে। এরই জের ধরে সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়ন সম্মেলনের ফলাফল ঘোষণার আগে সাবেক মন্ত্রীর ছেলে, ভাতিজা ও সমর্থকরা এ হামলা চালায়। এ সময় দলের কর্মী আবদুল জলিল নিহত হন। এছাড়া বেশ কয়েকটি ঘরবাড়ি ও দোকানপাট ভাংচুর করা হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হবে।
তবে এ বিষয়ে সাবেক মন্ত্রীর ছেলে দৌলতপুর ইউপি চেয়ারম্যান আশিকুর রহমান লাজুক বিশ্বাস বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে আমাদের কেউ জড়িত নয়। এর চেয়ে বেশি কিছু জানি না বলে ফোন কেটে দেন তিনি।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন