ভালোবাসা ধর্ম বর্ণ জাত কিংবা বয়সসহ কিছুই তোয়াক্কা করে না। ভিন্ন দেশ, ভাষা ও সংস্কৃতির মানুষ একে অপরের প্রেমে পড়ে।এমনটা হরহামেশা শোনা যায়। সত্যিই ভালোবাসার শক্তি সব প্রতিকূলতাকে হার মানাতে পারে। তেমনই দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন ইতালির এক পুলিশ ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত তরুণী। তাদের প্রেমের গল্প বেশ কৌতূল ।
ভিন্ন সংস্কৃতির দুজনের ভালোবাসার সফল সমাপ্তি হলো নান্দনিক পরিণয়ে। তাদের ঘর বাঁধার খবর ইতালির বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উঠে আসার পর আলোচনা তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশি তরুণীকে প্রাচ্যের সুন্দরী রাজকুমারী খেতাব দিয়ে প্রশংসা করেছে ইতালির গণমাধ্যম।
বাংলাদেশি কোনও তরুণীর ইতালিতে পুলিশ সদস্যকে বিয়ে করার ঘটনা এটাই প্রথম। নবদম্পতি এখন আনন্দ ও প্রশংসায় ভাসছেন।জানা গেছে, তুরিন সিটির পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ২৫ বছরের তরুণী সুমাইয়ারার সঙ্গে কয়েক বছর আগে ইতালিয়ান পুলিশ দোমেনিকোর পরিচয় হয়। ইতালির প্রাচীনতম রাজধানী তোরিনোতে ধীরে ধীরে তাদের ভালোলাগা রূপ নেয় ভালোবাসায়। এবার বিয়ে করে সংসার সাজালেন দুজনে।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ ইতালির কাম্পানিয়া বিভাগের সালের্নো প্রভিন্সের মাইওরি পৌর এলাকায় বিয়ের বন্ধনে জড়ান সুমাইয়ারা ও দোমেনিকো। বিয়ের অনুষ্ঠানে বর ইউনিফর্ম পরেন আর লাল রঙের শাড়িতে সেজেছিলেন কনে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বাংলাদেশের সঙ্গে ইতালির আকাশপথে যাতায়াত বন্ধ থাকায় সুমাইয়ারার পরিবারের কেউ বিয়েতে অংশ নিতে পারেনি।
ইতালিয়ান নাগরিক দোমেনিকো তামবুররিনো ইতালীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত প্যারামিলিটারি পুলিশ ফোর্স ক্যারাবিনিয়ারির মার্শাল হিসেবে কর্মরত আছেন উত্তর পশ্চিম ইতালির পিয়েমন্তে বিভাগের তুরিন (তোরিনো) প্রভিন্সে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন