লকডাউনবিরোধী বিক্ষোভ করেছেন বরিশাল

লকডাউনবিরোধী বিক্ষোভ করেছেন বরিশাল

স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান চালু রাখার অনুমতি চেয়ে লকডাউনবিরোধী বিক্ষোভ করেছেন বরিশালের দোকান মালিক-কর্মচারীরা। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর চকবাজারে এ বিক্ষোভ হয়। পরে মিছিল নিয়ে নগরীর প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা।

চকবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ আবদুর রহিম বিক্ষোভকালে বলেন, ঘোষিত লকডাউনে সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা। শুধুমাত্র দোকানপাট বন্ধ করে তাদের কর্মহীন করা হয়েছে। তারা আগের লকডাউনের অর্থনৈতিক ক্ষতি এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি।এর মধ্যে ফের লকডাউন ঘোষণা করায় দোকান মালিক ও কর্মচারীরা চরম সংকটে পড়েছেন। স্বাস্থ্য নিরাপত্তা বিধি নিশ্চিতের শর্তে দোকানপাট খুলে দেওয়ার দাবি জানান তিনি।

পরে চকবাজারের দোকান মালিক ও কর্মচারীদের সঙ্গে যোগ দেয় বরিশাল বহুমুখী সিটি মার্কেটের কর্মচারীরা। তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন।এ সময় জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট গৌতম বাড়ৈ তাদের শান্ত করে বলেন, সকল দাবি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন। পরে বিক্ষুব্ধরা তাদের কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করেন। 
এদিকে করেনার সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত লকডাউন ঢিলেঢালাভাবে চলছে বরিশালে। তবে করোনার সংক্রমন রোধে, সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়ন ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে বরিশালে অভিযান চালিয়েছেন জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে কীর্তনখোলা নদীর চরকাউয়া খেয়াঘাট এলাকার নগর প্রান্ত থেকে অভিযান শুরু করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাবেদ হোসেন ও মো. আলী সুজা। পর্যায়ক্রমে নগরীর ডিসি ঘাট, চাঁদমারি, মেডিকেল কলেজ, বান্দরোডসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালান তারা।নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাবেদ হোসেন জানান, জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা তৈরির জন্য এ অভিযান চালানো হয়, পাশাপাশি মাস্ক বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়া মাস্ক পরতে বাধ্য করতে জরিমানাও করা হয়। জনসাধারণকে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে এবং মাস্ক পরাতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখার কথা জানান তিনি।

এদিকে শহরের প্রধান প্রধান সড়কে অনুমোদন ব্যতীত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট বন্ধ থাকলেও পাড়া-মহল্লায় চায়ের দোকানসহ বিভিন্ন ধরনের দোকানপাট খোলা রাখা হয়েছে। এমনকি লকডাউনের প্রথম দিন সোমবার দিবাগত রাত ১১টা পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন এলাকায় চায়ের দোকানগুলো খোলা রাখতে দেখা গেছে।

এদিকে বাস-লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকলেও নগরের বিভিন্ন স্থানে রিকশাসহ থ্রি-হুইলার যানবাহন চলতে দেখা গেছে। সেই সঙ্গে মহাসড়কেও থি-হুইলারের একক আধিপত্য দেখা গেছে। আবার গন্তব্যে যেতে সেসব যানবাহনে যাত্রীদের দ্বিগুণ ভাড়া গুনতে হচ্ছে।এদিকে খোলাস্থানে বাজার পরিচালনা করার কথা থাকলেও সেটিও মানছে না কেউ। নগরের চকবাজার এলাকার বাসিন্দা নজরুল ইসলাম জানান, নগরজুড়ে প্রধান সড়কগুলোতে দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। তবে পাড়া-মহল্লায় চায়ের দোকানসহ বিভিন্ন ধরনের অপ্রয়োজনীয় দোকানপাট খোলা রয়েছে। কেউ কেউ সাটার অর্ধেক খুলে দোকান চালাচ্ছেন।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরিরত জাকির হোসেন জানান, সোমবারের থেকে মঙ্গলবার রাস্তায় লোকজনের সংখ্যা বেশি মনের হয়েছে। আবার স্বাস্থ্যবিধি মানার কথা বলা হলেও মাস্ক ব্যবহারে অনীহা এখনো সাধারণ মানুষের মাঝে। আমরা যারা একটু দূরে চাকরি করি, তারা পড়েছেন বিপাকে। ওদিকে থ্রি-হুইলার ঠিকই চলছে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password