৩১ বছর বয়সী আপসানা বেগম পূর্ব লন্ডনের পপলার এন্ড লাইম আসনের এমপি, তার বিরুদ্ধে ব্রিটেনের একটি আদালতে জালিয়াতির এক অভিযোগ আনা হয়েছিল যা থেকে বর্তমানে তিনি নির্দোষ বিবেচনায় খালাস পেয়েছেন।

আদালত যখন আপসানা বেগমকে নির্দোষ বলে রায় দেয় তখন তাকে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে কাঁদতে দেখা যায়। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, এই মামলার কারণে তার সুনামের বিরাট ক্ষতি হয়েছে এবং তাকে বিরাট দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।

গেলো শুক্রবার লন্ডনের স্নেয়ার্সব্রুক কাউন্টি আদালতকে আপসানা বেগম জানিয়েছেন, তার আর্থিক বিষয় দেখাশোনা করতেন তার স্বামী, যিনি সবকিছু 'নিয়ন্ত্রণ' করতে চাইতেন এবং তার নামে আবাসনের আবেদনটি করা হয়েছিল, এটা জানার পর তিনি 'অবাক' হয়েছিলেন।

আপসানা বেগম আরও অভিযোগ করেন যে, তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনার পেছনে 'হীন অভিপ্রায়' কাজ করেছে। ২০১১ সালের ২২ জুলাই তিনি টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের হাউজিং রেজিস্টারে তালিকাভুক্ত হন আবাসন সুবিধার জন্য।

আপসানা বেগম আদালতে আরও বলেন, তিনি পারিবারিক নির্যাতনের শিকার এক নারী। তার বিরুদ্ধে এরকম হয়রানিমূলক অভিযোগ আনার পর গত ১৮ মাস ধরে তাকে অনলাইনে অনেক নারী-বিদ্বেষী এবং ইসলাম-বিদ্বেষী মন্তব্যের মুখোমুখি হতে হয়েছে। তাকে অনেক রকম হুমকিও দেয়া হয়েছে। তার জন্য এটি ছিল খুব কঠিন একটা সময়।

বাংলাদেশি বংশদ্ভূত আপসানা বেগম ২০১৯ সালের পার্লামেন্ট নির্বাচনে বড় ব্যবধানে পপলার এন্ড লাইম আসনে জয়ী হয়েছিলেন।