চরফ্যাশন বেতুয়াঘাটে লঞ্চ না থাকায় দূর্ভোগে হাজারো যাত্রী

চরফ্যাশন বেতুয়াঘাটে লঞ্চ না থাকায় দূর্ভোগে হাজারো যাত্রী

ভোলা জেলার মানুষ অন্য জেলায় যাওয়ার জন্য পাড়ি দিতে হয় নদীপথে। প্রতিদিন নানান কাজে ও উন্নত চিকিৎসার জন্য একমাত্র বাহন লঞ্চ। চরফ্যাসন বেতুয়াঘাট থেকে ছেড়ে যেত অনেকগুলো বিলাসবহুল লঞ্চ। সরকারের পরমিটকৃত চরফ্যাসনের বেতুয়া-ঢাকা রুটে প্রতিদিন লঞ্চ ছেড়ে যায়। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে হামিমুদ্দিন ও তজুমদ্দিন থেকে বেতুয়ার লঞ্চ ছেড়ে যাচ্ছে ঢাকা উদ্দেশ্যে।

একইভাবে ঢাকা সদরঘাট থেকে ছেড়ে মধ্যরাতে ওই ঘাটে যাত্রীদের নামিয়ে দেয়া হয়। এতে চরম দূর্ভোগে হাজারো যাত্রী। এতে লোকসান গুনছে ঘাট ইজারাদার। লঞ্চযাত্রী নেসার নয়ন বলেন, বেতুয়া ঘাটে এমন কি দূর্যোগ চলছে যে, আজ পাঁচদিন হলো এই ঘাটে লঞ্চ আসা বন্ধ করে দিয়েছে। চরফ্যসনের মানুষ ঢাকায় যাওয়ার জন্য হাকিমুদ্দিন ঘাট পর্যন্ত গিয়ে লঞ্চে উঠতে হয়।

সতর্কতা সংকেত কি শুধু হাকিমুদ্দিন ঘাট থেকে বেতুয়া ঘাট পর্যন্ত? এই বিষয়ে এমভি তাসরীফ-৩ লঞ্চের সুপার ভাইজার আলমগীর জানান, আবহাওয়ার খারাপ থাকায়, ঝূকিপূর্ণ ৩টি ঘাটে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষের। বিআইডব্লিউটিএর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, আবহাওয়ার খারাপ থাকলে সকল রুটে লঞ্চ বন্ধ থাকবে। নিদিষ্ট কোন ঘাটে এই নিষেধাজ্ঞা নেই।

তাছাড়া সরকারিভাবে অনুমোদিত (পরমিটকৃত) ঘাট ছাড়া অন্য কোনঘাট থেকে লঞ্চ ছাড়া সম্পূর্ণ বেআইনী। তিনি আরও বলেন, বেতুয়াঘাটে ইজারাদারের লোকজনের সাথে যাত্রী ও মালামাল বহন নিয়ে মতবিরোধ চলার কারনে লঞ্চ কোম্পানী মাঝেমধ্যে এরকম করছে। এদিকে বেতুয়াঘাটের ইজারাদার নুরে আলম মাস্টার বলেন, তাদের সাথে আমাদের কোন বিরোধ নেই। সরকারি নিয়ম ও চার্ট অনুযায়ী বেতুয়াঘাটে টোল ও মালামালের ভাড়া নেয়া হয়।

লঞ্চ কর্তৃপক্ষের সাথে কোন মতবিরোধ হয়নি। তারা আবহাওয়ার দোহাই দিয়ে বেতুয়া থেকে লঞ্চ ছাড়েনা। নুরে আলম মাস্টার আরও বলেন, বেতুয়া থেকে লঞ্চ না চালানোর কোন কারণ দেখছিনা। মেঘনা নদীতে কোন স্রোত নেই, খুবই শান্ত রয়েছে। এ কারনে যাত্রীবাহী লঞ্চ ঢাকা থেকে ছেড়ে এসে সর্বশেষ হাকিমুদ্দিন বা তজুমুদ্দিন ঘাটে অবস্থান করে। কয়েকদিন যাবৎ বেতুয়া থেকে কোন লঞ্চ ছাড়েনা। বেতুয়া লঞ্চঘাটে আসা অনেক যাত্রী ঘাটে এসে লঞ্চ না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। চরফ্যাসন ঢাকা (বেতুয়া) রুটে প্রতিদিন ৩টি লঞ্চে চার উপজেলার মানুষ যাতায়াত করেন। বেতুয়া ঘাটে লঞ্চ বন্ধ থাকায় যাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password