দুই ছাত্রলীগ কর্মীর বিরোধের জেরে সংঘর্ষের ৫০ জন আহত

দুই ছাত্রলীগ কর্মীর বিরোধের জেরে সংঘর্ষের ৫০ জন আহত

দুই ছাত্রলীগ কর্মীর বিরোধের জেরে দুই গ্রামবাসীর দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে সাত পুলিশ সদস্যসহ উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে সুনামগঞ্জের ছাতকে জাউয়াবাজারে ছাত্রলীগ কর্মী জুনেদ আহমদ ও মাসুম মিয়ার অনুসারীদের মধ্যে প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ৬০ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ২৫ রাউন্ড টিয়ার গ্যাসের সেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশের রাবার বুলেটে অনেকে আহত হয়েছেন। আহত পুলিশ সদস্যসহ ৩৫ জনকে স্থানীয় কৈতক হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। আহত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন ওসি মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, এএসআই রিপন আহমদ, আব্দুল মুকিত, সোহেল মিয়া, কনস্টেবল পার্থ রমা দাস, জামিল আহমদ ও হুমায়ুন কবীর।

রাবার বুলেটে আহত লোকমান হোসেন, মাসুম মিয়া, হোসাইন আহমদ, জুনেদ মিয়া, কমর উদ্দিন, আকবর আলী, মো. আলী. নাজিম উদ্দিন, সুমন মিয়া, খোকন মিয়া, মুহিবুর রহমানসহ ১৫ জনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জাউয়াবাজার ডিগ্রি কলেজের ছাত্র ও কোনাপাড়া গ্রামের ইব্রাহিম মিয়ার ছেলে ছাত্রলীগ কর্মী জুনেদ আহমদের সঙ্গে একই কলেজের ছাত্র ও পূর্বহাটি গ্রামের আতাউর রহমান আতার ছেলে ছাত্রলীগ কর্মী মাহতাব মিয়ার বিরোধ চলছিল। মঙ্গলবার বিকেলে জাউয়াবাজারে দু'জনের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডার ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যার পর থেকে দু'পক্ষই দু'দিকে জড়ো হতে থাকে।

এক পর্যায়ে রাত ৮টার দিকে জাউয়াবাজারের সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের ওপর অস্ত্রশস্ত্র, ইটপাটকেল নিয়ে দু'পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে পুরো জাউয়াবাজার এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এদিকে, সংঘর্ষ চলাকালে আতঙ্কে জাউয়াবাজার এলাকার সড়কের আশপাশে সব দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। বাজারে আসা লোকজন চারদিকে ছোটাছুটি শুরু করেন।

সড়কের ওপর সংঘর্ষ চলায় দু'পাশে দূরপাল্লার বাস-ট্রাকসহ শত শত ছোট-বড় যানবাহন আটকা পড়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে গাড়ির যাত্রীরাও দুর্ভোগে পড়েন। খবর পেয়ে ছাতক থানা ও জাউয়াবাজার তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৮৫ রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ার গ্যাসের সেল ছোড়ে।

রাত সাড়ে ১০টার দিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পুলিশের সহায়তায় সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে যানবাহন চলাচল শুরু হয়। এ খবর পেয়ে সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহসান শাহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ছাতক থানার ওসি মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password