রাজশাহীর বাঘায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনরত কলেজছাত্রীকে উদ্ধার করে ওসিসিতে প্রেরণ করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে প্রেরণ করেন বাঘা থানার পুলিশ। এর আগে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার গৌরাঙ্গপুর গ্রামের প্রেমিক আবদুল্লার বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে কলেজছাত্রী বলেন, বিয়ে না করায় আবদুল্লার বাড়িতে অনশন শুরু করেছিলাম। পুলিশ আমাকে থানায় নিয়ে আসেন। পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে প্রেরণ করেন।
তিনি আরও বলেন, ছয় মাস আগে গৌরাঙ্গপুর গ্রামের সাজদার রহমানের ছেলে সেনা সদস্য আবদুল্লার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক হয়। এই সম্পর্কের কারণে তার সঙ্গে বেশ কয়েকবার দেখা সাক্ষাৎ হয়েছে। এছাড়া তার সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক হয়। কিন্তু আবদুল্লা আমাকে কিছু না জানিয়ে শুক্রবার অন্যত্রে বিয়ে করার জন্য দিন ঠিক করে। বিয়ের দিন ঠিক হওয়ার খবর জানতে পেরে আবদুল্লার বাড়িতে এসে অনশন শুরু করি। তবে এ সময় প্রেমিকা তার হাতে ব্লেড দিয়ে কেটে আবদুল্লার নাম লেখা দেখান।
এ বিষয়ে প্রেমিক আবদুল্লার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। পাকুড়িয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মেরাজুল ইসলাম মেরাজ সরকার জানান, ঘটনাটি জানার পর ওই ওয়ার্ডের মেম্বরকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে দুইজন চৌকিদারকে পাহারার জন্য দায়িত্ব দিই। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান।
উল্লেখ্য, বুধবার বিকাল ৪টা থেকে প্রেমিক আবদুল্লার বাড়ির গেটে কলেজছাত্রী (১৮) বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করেছিলেন।
এ বিষয়ে বাঘা থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে অনশনরত কলেজছাত্রীকে উদ্ধার করে পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে কলেজছাত্রীর বাবার অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন