জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম মিজানুর রহমান বলেছেন, ‘ব্যাংক থেকে গ্রাহকের টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে অথচ নিয়ন্ত্রক হিসেবে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছুই করার থাকে না। এটা অন্তত আর যাই হোক শোভন সমাজের কার্যকলাপ হতে পারে না।’
শনিবার (১৩ মার্চ) বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির উদ্যোগে অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত রচিত ‘বড় পর্দায় সমাজ-অর্থনীতি-রাষ্ট্র : ভাইরাসের মহাবিপর্যয় থেকে শোভন বাংলাদেশের সন্ধানে’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
এ সময় আলোচনায় অংশ নেন প্রখ্যাত আইনজীবী ব্যারিস্টার এম. আমীর-উল ইসলাম, সাহিত্যিক ও দার্শনিক অধ্যাপক হাসান আজিজুল হক, এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির এমেরিটাস অধ্যাপক ড. এটিএম নূরুল আমিন, অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী আন্তর্জাতিক খ্যাতিমান তথ্য-প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ড. মিজানুর রহমান।
মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, ‘দেশের মানুষ ১৯৭১ সালে প্রাণপণে যুদ্ধ করেছেন অর্থনৈতিক সমতা, স্বাধীনতা ও মর্যাদার জন্য। কিন্তু বর্তমানে শাসক গোষ্ঠী গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করতে ভয় পায়, মানুষকে কষ্ট করে ভোট কেন্দ্রে যেতে দিচ্ছে না! আর এটাই সমাজের আসল রূপ।’
প্রখ্যাত কথা সাহিত্যিক অধ্যাপক হাসান আজিজুল হক বলেন, ‘সব মানুষের মধ্যে কম বেশি প্রবৃত্তি রয়েছে কিন্তু আমি এ বিশ্বকে দেখি গৃহের ন্যায় আর সকল মানুষই আমার স্বজন।’
তিনি অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত রচিত ‘বড় পর্দায় সমাজ-অর্থনীতি-রাষ্ট্র বইয়ের প্রশংসা করে বলেন, ‘আবুল বারকাতের প্রত্যেকটি লেখা বই পড়েছি। কিন্তু এই বইটি উল্টিয়ে উল্টিয়ে দেখেছি আর যতটুকু বোঝার সেটুকু পড়েছি। তবে বলবো- তিনি এমন বই লিখেছেন যা আমার মাথার ওপর দিয়ে যাচ্ছে।’
ব্যারিস্টার এম. আমীর-উল ইসলাম বলেন, ‘দেশের মানুষ স্বাধীনতার যুদ্ধ করেছেন সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সমতার জন্য কিন্তু আমরা এখন সমাজে অসমতা দেখতে পাই। এগুলো দূর করতে হবে। জনগণের মতামতের স্বাধীনতা ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।’
অনুষ্ঠানের সঞ্চালক আবুল বারকাত বলেন, ‘ত্রিশ কোটি মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বলেন। এই ভাষাটি বিশ্বের সপ্তম ভাষা। তাই মানুষের কথার-বলার স্বাধীনতা আনতে হবে। বাংলাদেশ রাষ্ট্র-সমাজ-অর্থনীতি শোভন নেই। শোভন না হলে দেশ এখন অশোভন-বুঝতেই পারছেন। শোভন রাষ্ট্র গঠনে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন