করোনায় ঘরবন্দি ফুটবলার; মানসিক চাপ কাটাতে শ্যালিকার সঙ্গে বিছানায়!

করোনায় ঘরবন্দি ফুটবলার; মানসিক চাপ কাটাতে শ্যালিকার সঙ্গে বিছানায়!

করোনা আতঙ্কে কাঁপছে সারা বিশ্ব। একের পর এক শহর বন্ধ হয়ে যাচ্ছে করোনার ভয়াল থাবা ঠেকাতে। বন্ধ হয়ে গেছে ইউরোপের অনেক প্রিমিয়ার লিগও। তাই খেলা চালিয়ে যেতে পারছেন না অনেক খেলোয়াড়রাই। এতে বন্ধ হয়ে গেছে তাদের আয়ের পথ।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ইউরোপের অনেক খেলোয়াড়েরই একমাত্র আয়ের পথ হলো লিগ খেলা। কিন্তু লিগ খেলা বন্ধ হয়ে যাওয়াতে বিমর্ষ হয়ে পড়েছেন অনেক খেলোয়াড়। অনকে আবার পড়েছেন ব্যাপক চাপে।
এদিকে, আবার সেলফ আইসোলেশন আর কোয়ারেন্টাইনে থাকতে থাকতে একঘেয়েমি ধরে ফেলেছে অনেক খেলোয়াড়দের। সেই পরিস্থিতি কাটাতে এক ভয়নাক কাজ করে ফেলেছেন এক প্রিমিয়ার লিগ খেলোয়াড়।
বলা হচ্ছে, তিনি একঘেয়েমি কাটাতে গিয়ে নিজের স্ত্রীর বোনের সঙ্গে এক বিছানায় শুয়েছেন। লিগ খেলা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকে সেলফ আইসোলেশনে ছিলেন তিনি। নিজের বাসায় একা থাকতে থাকতে একঘেয়েমি ঘিরে ধরে থাকে। তাই একঘেয়েমি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্যই এই কাজ করেন।
মনোবিজ্ঞানী স্টিভ পোপ জানান, সারা বিশ্বের বিভিন্ন ক্লাব বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকে খেলোয়াড়রা মানসিকভাবে বিমর্ষ হয়ে পড়ছেন। তাদের নানা ধরনের মানসিক সমস্যা হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রিমিয়ার লিগের এক খেলোয়াড় আমাকে ফোন করে জানান, যে তিনি মানসিকভাবে বিমর্ষ হয়ে পড়েছেন। সেই মানসিক সমস্যা কাটাতে তিনি তার স্ত্রীর বোনের সঙ্গে এক বিছানায় রাত কাটিয়েছেন।
স্টিভ পোপ জানান, খেলা বন্ধ হয়ে যাওয়াতে অনেক খেলোয়াড়ই মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছেন। কোথায় প্রশিক্ষণ নেবেন, কি খাবেন, কোথায় যাবেন আর কিভাবে খেলবেন তা ভেবে অনেকেই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা হলে তারা পোপকে জানান, খেলা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা অস্বাভাবিক রকমের মানসিক চাপ ও উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন। তারা বিষণ্ণতার মধ্যে পড়ে যাচ্ছেন।
মনোবিজ্ঞানী স্টিভ পোপ বলেন, আমি বৃটেন থেকে ৩০টি ফোন পেয়েছি। নর্দান আয়ারল্যান্ড থেকে ফোন পেয়েছি চারটি আর আমি যাদের সঙ্গে কাজ করেছি বা করছি তাদের কাছ থেকে ১২টি ফোন কল পেয়েছি। তারা সবাই শুধু বিষণ্ণতার খবর দিয়েছেন। তাদের একটি ভালো জায়গায় নিয়ে আসার জন্য ক্লাবগুলোর কিছু একটা করা দরকার।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password