দীর্ঘদিনের কাঙ্ক্ষিত গ্রামীণ সড়কটি অবশেষে নির্মাণ শুরু হলেও সম্পন্নের আগেই স্থায়িত্ব নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। প্রায় তিন কোটি টাকা ব্যয়ের ৬ কিলোমিটার সড়কজুড়ে বিছানো হয়েছে নিম্নমানের খোয়া। আর ওই সব খোয়ায় গজানো ঘাস খাচ্ছে গরু। তা ছাড়া কাদামাটি মিশ্রণ তো রয়েছেই। যা দেখে এলাকার লোকজন তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেও কোনো কাজে আসছে না। প্রকৌশল বিভাগের কোনো তদারক কর্মকর্তা নির্মাণকাজ পরিদর্শন করেননি বলে গ্রামবাসী ও শ্রমিকরা জানান।
এ সড়কটির অবস্থান ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার শেরপুর ইউপি-কালিয়ান বাজার সড়ক। বাস্তবায়নের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। ভিত্তিপ্রস্তর ফলকে প্রকল্পের নামটি এভাবেই উল্লেখ করা হয়েছে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী রাস্তার নাম, কি দ্বারা উন্নয়ন, দৈর্ঘ্য, প্রকল্প ব্যয় ইত্যাদি তথ্য সাইনবোর্ডে উল্লেখ করার কথা। কিন্তু পুরো প্রকল্প ঘুরে এ ধরনের তথ্য সম্বলিত সাইনবোর্ড প্রকল্পস্থলে দেখা যায়নি।
সম্প্রতি রাস্তাটি পরিদর্শন করে দেখা গেছে, নিম্নমানের খোয়া সড়কে ফেলা হচ্ছে। সড়কের কোনো কোনো স্থানে কাদাযুক্ত খোয়া বিছানো হচ্ছে। মাটি লেগে ঘাস গজিয়ে গেছে এমন নিম্নমানের খোয়াও রাস্তায় বিছানো হয়েছে। বেশ কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, এ যেন পুকুর চুরি। চোখের সামনে নিম্নমানের কাজ করা হলেও আমরা প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছি না। এ ধরনের সড়ক করার চেয়ে আগের অবস্থাই ভালো ছিল। কারণ কিছুদিন পরেই বড় বড় গর্তে সয়লাব হবে।
কাজটির তদারক কর্মকর্তা উপসহকারী প্রকৌশলী সামছুজ্জামান বলেন, এ সড়কের কাজ কবে শুরু হয়েছে তা তাকে জানানো হয়নি। তারপরও এখন খোঁজ নেবেন। কত টাকার কাজ ঠিকাদার কে জানতে চাইলে তিনি ফাইল দেখে জানাবেন বলে আশ্বস্ত করেন।
দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা প্রকৌশলী অহিদুজ্জামান বলেন, আমি তো জেলা শহরে আছি। নান্দাইলের দায়িত্ব পেলেও অর্থের বিষয় ছাড়া অন্য কোনো বিষয়টি আমি দেখি না। তারপরও সেখানে উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী রাশেদুল হাসান সব দেকভাল করছেন। তাকে জিজ্ঞাস করেন।নান্দাইল উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী রাশেদুল হাসান জানান, ওই সড়কের জন্য দায়িত্বে আছেন উপসহকারী প্রকৌশলী মো. সামছুজ্জামান। তিনিই ভালো জানবেন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন