পূর্ণ শক্তি নিয়ে উপকূল অতিক্রম করেছে ঘূর্ণিঝড় রিমাল

পূর্ণ শক্তি নিয়ে উপকূল অতিক্রম করেছে ঘূর্ণিঝড় রিমাল

উপকূলে আঘাত হেনেছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’। এতে কয়েক জায়গায় ভেঙে গেছে বাঁধ। লোকালয়ে ঢুকছে পানি। পটুয়াখালী এবং সাতক্ষীরায় প্রাণ গেছে দুজনের। এরই মধ্যে সোমবার (২৭ মে) ভোর থেকে দেশের উপকূলসহ রাজধানীতে এর প্রভাবে বৃষ্টি ও ঝড়ো হওয়া শুরু হয়েছে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ৫-৬ ঘণ্টা মোংলা ও পটুয়াখালী উপকূলে থাকবে ঝড়টি। পটুয়াখালীতে সর্বোচ্চ ৮৯ কিলোমিটার গতিবেগ পাওয়া গেছে। এরইমধ্যে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে সুন্দরবনও। পানিতে তলিয়েছে করমজলসহ বনের উঁচু এলাকা। কয়রায় চেষ্টা চলছে বেড়িবাঁধ জোড়া দেয়ার। বরগুনা, ভোলাসহ কয়েক স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

এর আগে রোববার দিবাগত রাতে আবহাওয়ার ১৭ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। এছাড়া খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার নদী বন্দরগুলোকে ৪ নম্বর নৌ-মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password