ঘণ্টায় ১৯০ কিলোমিটার বেগে ভারতের গুজরাটের দিকে অগ্রসর হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় তকতে। স্থানীয় সময় আজ রাত ৮টা থেকে ১১টার মধ্যে উপকূলে আঘাত হানতে পারে বলে সতর্ক করেছে দেশটির আবহাওয়া বিভাগ। ভারতীয় বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকে দূর্যোগব্যবস্থয়াপনায় কর্মরত উদ্ধারকর্মীদের গুজরাটে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানা যায়।
ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে এরই মধ্যে গুজরাটের দেড় লাখ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে শুধু পোরবান্দার ও মাহুভা এলাকা থেকেই সরানো হয়েছে ২৫ হাজার মানুষকে। মহারাষ্ট্র ও গুজরাটের প্রায় ৭ হাজার মাছ ধরা নৌকাকে যত দ্রুত সম্ভব তীরে ফেরার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে মুম্বাই বিমানবন্দরের ফ্লাইট চলাচল। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় তাওকতের আগাম প্রভাব শুরু হয় ভারতের কেরালা ও কর্ণাটকের উপকূলে। এই দুই জায়গায় মোট ছয়জন নিহত হয়েছেন। যে ছ’টি জেলায় ঝড়ের দাপট সবচেয়ে বেশি, তার মধ্যে তিনটি উপকূলবর্তী ও তিনটি পশ্চিমঘাট পর্বত সংলগ্ন। এতে অন্তত ৭৩টি বাড়ি ভেঙে পড়েছে বলেও জানিয়েছে কর্ণাটক প্রশাসন।
শনিবার (১৫ মে) এই ঘূর্ণিঝড় নিয়ে আলোচনায় বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি সেই বৈঠকে নির্দেশ দেন যেন এই ঝড়ের কারণে করোনা চিকিৎসায় কোনও সমস্যা না দেখা যায়। হাসপাতালগুলিতে বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা থেকে শুরু করে বাকি সব পরিষেবা যাতে দেওয়া হয়, সে কথা বলেন তিনি। ঝড়ের সময় দলের কর্মীদের সাধারণ মানুষের পাশে থাকার নির্দেশ দিয়ে টুইট করেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীও।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন