পরিবারের মান বাঁচাতে এবং রাগের বশবর্তী হয়ে বুধবার সকালে ভয়ঙ্কর এক ঘটনা ঘটিয়েছে তরুণীর বাবা। উত্তরপ্রদেশের কানপুরের দেহাত জেলার বাসিন্দা ওই অভিযুক্ত ব্যক্তি গ্রাম ভর্তি লোকের সামনে মেয়ে কুপিয়ে ফালা ফালা করে দেন।
কানপুর: রাতে বাড়ি থেকে পালিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে উঠেছিল মেয়ে। সে কথা জানতে পেরে প্রেমিকের বাড়িতে পৌঁছয় তরুণীর বাবা। আর তারপরে যা ঘটেছে, তা শুনলে শিরদাঁড়া দিয়ে রক্তের ঠাণ্ডা স্রোত বয়ে যাবে।
পরিবারের মান বাঁচাতে এবং রাগের বশবর্তী হয়ে বুধবার সকালে ভয়ঙ্কর এক ঘটনা ঘটিয়েছে তরুণীর বাবা। উত্তরপ্রদেশের কানপুরের দেহাত জেলার বাসিন্দা ওই অভিযুক্ত ব্যক্তি গ্রাম ভর্তি লোকের সামনে মেয়েকে কুপিয়ে ফালা ফালা করে দেয়। ঘটনাস্থলেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে প্রাণ হারান বছর ১৮-র তরুণী। প্রেমিকাকে চোখের সামনে কোপাতে দেখে তাঁকে বাঁচাতে আসেন তরুণ। আর তাতেই গুরুতর আহত হন তিনিও। গ্রামের বাসিন্দারা এরপর খবর দেয় পুলিশে। বুধবার সকালে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়।
ঠিক কী ঘটেছিল? প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আঠারো বছরের ওই তরুণী মঙ্গলবার রাতে বাড়ি থেকে পালিয়ে খানপান্না এলাকার বাসিন্দা এক তরুণের (তরুণীর প্রেমিক) বাড়িতে ওঠে। তরুণের গ্রামেই একটি ছোট দোকান রয়েছে। দাবি, তরুণীর বাবা খোঁজ নিয়ে জানতে পারে ওই তরুণের বাড়িতে গিয়ে উঠেছে তার মেয়ে। এরপর অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি তরুণের দোকানে গিয়ে ঘটনার সত্যতা যাচাই করে। তরুণ তাকে জানান, তরুণীই তাঁদের বাড়িতে পাকাপাকিভাবে থাকার জন্য জোর করে, তাই তাঁকে রাখা হয়েছে। এরপর বিষয়টি নিশ্চিত হতেই সটান তরুণের বাড়িতে হানা দেয় তরুণীর বাবা। সঙ্গে ছিল তরুণীর বাড়ির অন্যান্য সদস্যরাও।
পুলিশকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি তরুণের বাড়িতে ঢুকেই চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে দেয়। মেয়েকে বাড়ি ফিরয়ে যাওয়ার জন্য চাপ দেওয়া শুরু হয়। কিন্তু বাড়ি ফিরতে কোনমতেই রাজি ছিল না তরুণী। সে কথা জানাতেই শুরু হয় বচসা। এমন সময় আচমকাই হাতে থাকা কুড়ুল নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে তরুণীর ওপর। এলোপাথাড়ি কোপানো শুরু হয়। ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়ে সে। তরুণীকে বাঁচাতে এসে কুড়ুলের আঘাতে গুরুতর আহত হন তরুণও।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে একপ্রকার নিশ্চিত একটি 'অনার কিলিং' অর্থাৎ সম্মান রক্ষার্থে খুনের ঘটনা। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতারের পাশাপাশি ঘাতক কুড়ুলটিকে বাজেয়াপ্ত করেছে। একে একে গ্রামবাসীদের বয়ান নথিভুক্ত করা হবে তদন্তের স্বার্থে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন