ঢাকা-মাওয়া- ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে কোরিয়ান কোম্পানির আইটিএস এর আওতায় আসছে

ঢাকা-মাওয়া- ভাঙ্গা  এক্সপ্রেসওয়েতে কোরিয়ান কোম্পানির আইটিএস এর আওতায় আসছে

এর জন্য ৫ বছরের সার্ভিস চার্জ বাবদ প্রতিষ্ঠানটিকে প্রায় ৪২৫ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হবে। আর ৩ সেতুর টোল আদায় হবে এক যায়গাতেই, যার ফলে বাচবে সময় কমবে ট্রাফিকও।

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের আওতাধীন ‘ঢাকা-খুলনা (এন-৮) মহাসড়কের যাত্রাবাড়ী ইন্টারসেকশন থেকে (ইকুরিয়া-বাবুবাজার লিংক সড়কসহ) মাওয়া পর্যন্ত এবং পাঁচ্চর-ভাঙ্গা অংশ এই ছয় লেনের এক্সপ্রেসওয়েতে দুটি সার্ভিস লেন, ৫টি ফ্লাইওভার, ১৯টি আন্ডারপাস, ২টি ইন্টারচেঞ্জ, চারটি রেলওয়ে ওভার ব্রিজ, ৪টি বড় সেতু, ২৫টি ছোট সেতু এবং ৫৪টি কালভার্ট রয়েছে। যা সর্বপ্রথম এক্সপ্রেসওয়ে, যার দৈর্ঘ্য ৫৫ কিলোমিটার।

এর মধ্যে বড় ৩টি সেতু এগুলো হচ্ছে-৮৪৭.৩২ মিটার দীর্ঘ বুড়িগঙ্গা সেতু (চীন বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু), ৮৫৩.২০ মিটার দীর্ঘ ১ম ও ২য় ধলেশ্বরী সেতু এবং ৪৫০.০০ মিটার দীর্ঘ আড়িয়াল খাঁ সেতু। এই রুটে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২২টি জেলার সঙ্গে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলের নিরাপদ, নিরবচ্ছিন্ন এবং নির্বিঘ্ন সড়ক যোগাযোগ নিশ্চিত হবে।এবং পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হলে এই রুটের ব্যস্ততা আরো অনেক বেড়ে যাবে।

একটি প্রাণবন্ত অর্থনীতির জন্য আইটিএস কার্যক্রম পরিচালনা একটি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। এই কার্যক্রম বিশেষায়িত এবং বাংলাদেশে প্রথম। আইটিএস কার্যক্রম পরিচালনার মতো অভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে নেই। তাই কোরিয়া কোম্পানির অভিজ্ঞতা থাকায় তাদের কাজ দেয়া হচ্ছে। এই আইটিএস সিস্টেমে যে ৩টি সেতুতে বর্তমানে টোল আদায় করা হচ্ছে আইটিএস স্থাপিত হলে সেতু ৩টিতে আলাদাভাবে টোল আদায়ের পরিবর্তে এক জায়গা থেকে সমন্বিতভাবে টোল আদায় করা হবে।যার ফলে ৩ যায়গায় গাড়ি দাড়াতে হবে না।সেই সাথে কার্ড এবং ই টোল গেট সিস্টেম আনলে গাড়ি না দাঁড়িয়ে চলে যেতে পারবে।দরকার পড়বে না নগদ টাকার।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password