আমু ও তার মেয়েকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে জেলা আ.লীগ নেতা গ্রেফতার

আমু ও তার মেয়েকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে জেলা আ.লীগ নেতা গ্রেফতার

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এমপি ও তার মেয়েকে নিয়ে ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে আপত্তিকর ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার ঘটনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেফতার রুহুল আমীন রিজভীকে আবারও এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, মঙ্গলবার দুপুরে ঝালকাঠির জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে রিজভীকে হাজির করে পুলিশ পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। বিচারক এএসএম তারিক শামস এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এ মামলায় গত ৯ ডিসেম্বর দুপুরে পুলিশ রিজভীকে গ্রেফতার। একইদিন তাকে তিন দিনের রিমান্ডে দেন আদালত। কিন্তু তিন দিনের রিমান্ডে পুলিশের কাছে সব তথ্য না দেয়ায় ফের রিমান্ডে নেয়া হয় তাকে।

এ মামলায় গত ৬ ডিসেম্বর রাতে জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ রাব্বিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে দুই দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়।

পুলিশ জানায়, জেলা ছাত্র লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ রাব্বী তার নিজ নামের ফেসবুক আইডি ও ম্যাসেঞ্জার দিয়ে ঝালকাঠি-২ আসনের সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমু ও তার মেয়ে সম্পর্কে গত ৫ ডিসেম্বর রাত ১২ টা ২২ মিনিটের সময় আপত্তিকর ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে। এ ঘটনায় জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আসম মোস্তাফিজুর রহমান মনু ৬ ডিসেম্বর রাতে ঝালকাঠি থানায় রাব্বিসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামি করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলা রেকর্ডের কিছুক্ষণ পর রাত ৯টার দিকে শহরের সাধনার মোড় থেকে রাব্বীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ম্যাসেঞ্জারের সেই স্ক্রিনশট ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ ওঠে আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমীন রিজভীর বিরুদ্ধে। পুলিশ ৮ ডিসেম্বর রাতে তাকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা পেয়ে মামলায় সন্দিগ্ধ আসামি হিসেবে গ্রেফতার করা হয় তাকে।  জব্দ করা হয় রিজভীর মোবাইল।

ঝালকাঠি থানার ওসি খলিলুর রহমান বলেন, রিজভীকে প্রথম দফায় জিজ্ঞাসাবাদে কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। তবে পুরো তথ্য পাওয়া যায়নি, তাই আরও তথ্য জানার জন্য পুনরায় রিমান্ডে আনা হয়েছে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password